ইন্ডিয়া জোটে জায়গা হয়নি। একাধিকবার আবেদন করেও মেলেনি সমর্থন। শেষ পর্যন্ত বিহার বিধানসভা নির্বাচনে একাই লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে আসাদউদ্দিন ওয়েইসির দল অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (এআইএমআইএম)। মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে ওয়েইসির তিন দিনের ‘সীমাঞ্চল অধিকার যাত্রা’, যা বিহারের সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকা গুলিকে কেন্দ্র করেই সাজানো হয়েছে।
সূত্রের খবর, যাত্রা পর্বে মোট ২৪ থেকে ২৫টি বিধানসভা আসনকে লক্ষ্য করে এগোবেন হায়দরাবাদের সাংসদ ওয়েইসি। বিহারের পূর্বাঞ্চলীয় এলাকায় তাঁর দলের প্রভাব রয়েছে। ২০২০ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই এলাকাতেই পাঁচটি আসনে জয়ী হয় এআইএমআইএম। যদিও পরে তাঁদের মধ্যে চারজন বিধায়ক যোগ দেন আরজেডিত। দলের একমাত্র অবশিষ্ট বিধায়ক আখতারুল ইমাম বর্তমানে বিহারে এআইএমআইএম-এর রাজ্য সভাপতি।
Advertisement
এবার ফের ওই অঞ্চলকে ঘিরেই সংগঠনের পুনর্গঠন এবং ভোট প্রস্তুতি শুরু করলেন ওয়েইসি, যদিও তাঁর দল ইন্ডিয়া জোটে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্য সক্রিয়ভাবে চেষ্টা করেছিল। ওয়েইসির দাবি, রাজ্য সভাপতি আখতারুল ইমাম অন্তত তিনবার আরজেডি নেতৃত্বকে চিঠি লিখে মাত্র ৬টি আসনের দাবি জানিয়েছিলেন। কিন্তু আরজেডি নেতৃত্ব সেই প্রস্তাবে সাড়া দেয়নি। ওয়েইসির বক্তব্য, ‘আমরা ইন্ডিয়া জোটে থাকতে চেয়েছিলাম, কারণ আমাদেরও লক্ষ্য বিজেপিকে পরাজিত করা। কিন্তু আমাদের প্রস্তাব গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। তাই এবার আমরা স্বাধীনভাবেই লড়াই করব।’
Advertisement
বিশেষজ্ঞদের মতে, এআইএমআইএমকে জোটে নিলে কিছু এলাকায় বিজেপির বিরুদ্ধে মুসলিম ভোটের একটা বড় অংশ কংগ্রেস-আরজেডি জোটের পক্ষে যেত। এমনকি কংগ্রেসও ওয়েইসিকে জোটে নিতে রাজি ছিল বলে সূত্রের দাবি। কিন্তু আরজেডি-র আশঙ্কা ছিল, ওয়েইসির উপস্থিতি বিজেপিকে হিন্দু-মুসলিম মেরুকরণের সুযোগ করে দেবে, যার রাজনৈতিক লাভ তুলতে পারে বিজেপিই। ফলে শেষ পর্যন্ত ওয়েইসিকে জায়গা দেওয়া হয়নি ইন্ডিয়া জোটে।
এরই প্রতিক্রিয়ায় ওয়েইসি সরাসরি লালুপ্রসাদ যাদবের দলকেই নিশানা করছেন। পাল্টা আরজেডি-র বক্তব্য, ‘ওয়েইসির মতো দল বিজেপির সুবিধা করে দিচ্ছে। ওঁরা আদতে বিজেপির ‘বি টিম’ হিসেবে কাজ করছে।’ এই অবস্থায় বিহারের ভোটে ওয়েইসির প্রভাব কতটা পড়ে, তা এখন বড় প্রশ্ন। তবে ওয়েইসির ‘অধিকার যাত্রা’ যে মহাজোটকে কিছুটা হলেও চাপে ফেলবে, তা অনেকটাই স্পষ্ট।
Advertisement



