হিংসার দায় কেউ নেয় না, সুপ্রিম কোর্টের ক্ষোভ

লখিমপুর খেরির হিংসা ঘটনায় ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।এই ঘটনা প্রসঙ্গে সোমবার কেন্দ্রের এটর্নি জেনারেল দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা বলে দায় এগিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের কাছে।

Written by SNS Delhi | October 5, 2021 5:56 pm

সুপ্রীম কোর্ট (File Photo: iStock)

উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরির হিংসা ঘটনায় ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনা প্রসঙ্গে সোমবার কেন্দ্রের এটর্নি জেনারেল দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা বলে দায় এগিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের কাছে। সোমবার বিচারপতি এএম খানউইলকর এবং বিচারপতি সিটি রবিকুমারের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়।

বিচারপতি মৌখিকভাবে পর্যবেক্ষণে বলেন, ‘এই ধরনের ঘটনার দায় কেউই নিতে চায় না’। বিচারপতি খানউইলরের মন্তব্য, এই ধরনের ঘটনা যখন ঘটে তখন কেউ দায় নিতে চায় না সম্পত্তির ক্ষতি হয়, মানুষজন আহত হন, কিন্তু কেউই দায় নেয় না পাশ থেকে বিচারপতি রবিকুমারের সংযোজন, মৃত্যু হয় বিতর্কিত কৃষি আইন সংশোধনীর বিরুদ্ধে চলা শুনানির সময় কেন্দ্রের পক্ষ রাখার সময় অ্যাটর্নি জেনারেল জানান, লখিমপুর খেরির দুর্ভাগ্যজনক ঘটনাটি আমরা দেখেছি।

যেহেতু কৃষি আইনের বিষয়টি ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন অবস্থায় রয়েছে, তাই এই নিয়ে আন্দোলন বা বিক্ষোভ দেখানো যুক্তিসঙ্গত নয় বলে দাবি করতে শোনা যায় সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতাকে। আন্দোলন থামা উচিত বলে আদালতে সুর চড়ান অ্যাটর্নি জেনারেলও।

কথায় সরকার খুব স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে যে কৃষি আইন কোনও মতেই প্রত্যাহার করা হবে না। কেন্দ্রীয় সরকারের বক্তব্য শুনে আদালত পালটা প্রশ্ন লাগাতার তাঁর করে, আইন যখন কার্যকরই হয়নি তখন বিক্ষোভ কেন? আদালত তো গোটা বিষয়টার উপরই নজর রেখেছে। আইন কার্যকরের উপর স্থগিতাদেশও রয়েছে। নতুন করে বিক্ষোভের অনুমতি চাওয়া নিয়ে অসন্তোষ স্পষ্ট করে শীর্ষ আদালত।

বিতর্কের কেন্দ্রে থাকা আইন নিয়ে বিচার চললেও কেন আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া হবে? প্রশ্ন আদালতের। কেউ কোনও পদক্ষেপের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হল। সেই পক্ষই আবার বলছে, বিষয়টি আদলতে বিচারাধীন, তবে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব, নীতিগতভাবে এটা কী ভাবে সম্ভব, এমনটাও জানতে চায় সুপ্রিম কোর্ট।

‘কিষাণ মহাপঞ্চায়েত’ নামক সংগঠনের পক্ষ থেকে শীর্ষ আদালতে একটি রিট পিটিশন দাখিল করে আবেদন জানানো হয়েছিল, সুপ্রিম কোর্ট যেন কেন্দ্রকে নির্দেশ দেয় যে যন্তর মস্তরে আন্দোলন করার অনুমতি দেওয়া হোক। কৃষি আইনের বিরুদ্ধে এই বিক্ষোভ দেখানোর অনুমতি চাওয়া হয়েছিল।

এই মামলার শুনানি করতে গিয়েই একের পর এক কড়া মন্তব্য করে মামলাটির পরবর্তী শুনানি আগামী ২০ অক্টোবর পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে বিচারাধীন কোনও বিষয় নিয়ে আদৌ বিক্ষোভ প্রদর্শন করা যায় কিনা সেই নিয়েই রায় দিতে পারে আদালত। এই মামলার চূড়ান্ত রায় এর দিকে তাকিয়ে গোটা দেশ।