পরীক্ষা না নিয়ে ডিগ্রি নয়, তবে পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন করা যাবে

চুড়ান্ত পরীক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে কোনও আপস নয়, কিন্তু তা ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই নিতে হবে এমন কোনও বাধ্যবাধকতা আরোপের বিষয়ে সিদ্ধান্ত বদলের নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।

Written by SNS New Delhi | August 29, 2020 5:04 pm

সুপ্রিম কোর্ট (File Photo: IANS)

চুড়ান্ত পরীক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে কোনও আপস নয়, কিন্তু তা ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই নিতে হবে এমন কোনও বাধ্যবাধকতা আরোপের বিষয়ে সিদ্ধান্ত বদলের নির্দেশ দিল সর্বোচ্চ আদালত। এদিন বিচারপতি ভূষণের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, চূড়ান্ত বছরের পরীক্ষা হবেই, তবে ইউজিসি যেরকম বলেছে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই নিতে হবে, সেই সময়সীমা শিথিল করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

এদিন শুনানির সময় মানবসম্পদ বিকাশমন্ত্রকের পরীক্ষা ছাড়া ডিগ্রি দেওয়া যাবে না, এই যুক্তি মেনে নিয়েছে আদালতো। কিন্তু কোভিড পরিস্থিতিতে সবার পক্ষে পরীক্ষা দেওয়া সম্ভব নয়, সেই কথাও খেয়াল রেখেছে আদালত।

যে সকল রাজ্যে পরীক্ষা নেওয়ার মতো পরিস্থিতি নেই তারা ইউজিসি’র কাছে চিঠি লিখে বাড়তি সময় নিতে পারবে। কিন্তু সময়সীমা কতটা বৃদ্ধি করা হবে তা নিয়ে একটা ধন্দ থেকেই যাচ্ছে। কারণ করোনা পরিস্থিতি আনলকের পরও খারাপ হচ্ছে, এমন পরিস্থিতিতে পড়ুয়াদের স্বাস্থ্যের ঝুঁকি নিয়ে পরীক্ষা নিতে চাইছে না অনেক রাজ্যই।

প্রসঙ্গত জেইই ও নিট পরীক্ষার ক্ষেত্রেও পড়ুয়ারা একই কারণ দেখিয়েছেন, কিন্তু সর্বোচ্চ আদালতে কোনও স্বস্তির কথা তারা শুনতে পাননি। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে সেই পরীক্ষা খারিজের আর্জি জানিয়ে সর্বোচ্চ আদালতে আবেদন জানিয়েছিলেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের একত্রিশ জন শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে আবার একজন করোনায় আক্রান্ত।

তেরোটি রাজ্য ও একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের পড়ুয়ারা অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নের ভিত্তিতে প্রাপ্ত নম্বর অনুযায়ী মার্কশিট দেওয়ার আবেদন জানান। শিবসেনার যুব সংগঠন যুবসেনাও একই আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়।

পড়ুয়ারাই নয়, ইউজিসি’র নির্দেশিকায় আপত্তি জানায় পশ্চিমবঙ্গ, দিল্লি, মহারাষ্ট্র, ওড়িশা, পাঞ্জাবের মতো একাধিক রাজ্য। দিল্লি ও মহারাষ্ট্র পরীক্ষা বাতিল ঘোষণা করে দেয়। পরে দুই রাজ্যের তরফে শীর্ষ আদালতে জানানো হয়, করোনা আর ২০০৫ সালের বিপর্যয় মোকাবিলা আইন প্রয়োগ করে চূড়ান্ত টার্মের পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

তবে এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের চূড়ান্ত সেমেস্টার বা বর্ষের পরীক্ষা বাতিলের আর্জি জানিয়ে শীর্ষ আদালতে যে একগুচ্ছ মামলা দায়ের করা হয়েছিল তার শুনানির পর রায় দিয়েছে আদালতো। সেখানে পরীক্ষা না নিয়ে ডিগ্রি দেওয়া যাবে না বলে স্পষ্ট রায় দিয়েছে আদালত।

তবে রাজ্যগুলি প্রয়োজনে ইউজিসি’র কাছে পরীক্ষা অনুষ্ঠানের সময় বৃদ্ধির জন্য আবেদন করতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ৬ জুলাই এক নির্দেশিকা জারি করে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের চূড়ান্ত পর্বের পরীক্ষা নেওয়ার কথা জানায় নির্দেশিকার বৈধতা নিয়ে শুক্রবার বিচারপতি অশোক ভূষণের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ রায় ঘোষণা করে।

ডিভিশন বেঞ্চ জানায় পরীক্ষা নিতেই হবে, তবে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে না নিলেও চলবে। সময়সীমা বৃদ্ধির জন্য ইউজিসি’র কাছে আবেদন করা যাবে বলে বিচারপতি ভূষণের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ রায়ে জানিয়েছে।