দেশে ঢুকল ওয়েস্ট নাইল জ্বর, ভাইরাসের হানায় কেরলজুডে় জারি সতর্কতা

Written by SNS May 9, 2024 5:52 pm

দিল্লি, ৯ মে– জ্বরে আক্রান্ত কেরল৷ জ্বরের নাম ওয়েস্ট নাইল৷ এই জ্বর নিয়ে সতর্কবার্তা কেরল জুড়ে৷ ইতিমধ্যেই এই জ্বরে আক্রান্ত অন্তত ১০ জন৷ কিউলেক্স প্রজাতির মশার কামডে় এই রোগ ছড়ায়৷ কেরলের তিনটি জেলা- মালাপ্পুরম, কোঝিকোড় ও থ্রিশূরে এই জ্বরের প্রকোপ দেখা গেছে৷ সংক্রমণের এই বাড়বাড়ন্ত লক্ষ্য করে, কেরলের স্বাস্থ্য দফতর সতর্কতা জারি করেছে৷
রাজ্যের স্বাস্থমন্ত্রী বীনা জর্জ বলেছেন, ‘মশাবাহিত রোগ ছড়াচ্ছে৷ সংক্রমণ যাতে আর না বাডে় তার জন্য মশা নিয়ন্ত্রণে বিবিধ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে৷’ স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্যকর্মীদের একটি বিশেষ দল মৃতের বাডি়র আশপাশে এলাকায় মশার বংশবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করছে৷
ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস বা ডব্লিউএনভি৷ এটাই নাইল ভাইরাসের পুরো নাম৷ ওয়েস্ট নাইল আরএনএ ভাইরাস৷ সাধারণত কিউলেক্স মশা থেকে এই ভাইরাস মানুষের শরীরে ছড়ায়৷ পাখির দেহ থেকে মশার মাধ্যমে এই ভাইরাস ঢোকে মানুষের শরীরে৷ আফ্রিকা, ইউরোপ, নর্থ আমেরিকা ও পশ্চিম এশিয়ায় এই রোগের প্রাদুর্ভাব সবথেকে বেশি৷ চরিত্রগত দিক থেকে অনেকটাই ফ্ল্যাভিভিরিড পরিবারের জাপানিজ এনসেফেলাইটিসের মতো৷ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরিযায়ী পাখিরা এই ভাইরাস বহন করে৷ তারপর মশার মাধ্যমে এই ভাইরাসটি মানুষ ও অন্যান্য পশু-পাখির শরীরে ঢুকতে পারে৷ শরীরে ভাইরাস ঢোকার এক সপ্তাহ পর থেকে উপসর্গ দেখা দিতে থাকে৷
ওয়েস্ট নাইল ভাইরাসের মারাত্মক কোনও লক্ষ্মণ দেখা যায় না৷ এই ভাইরাসের আক্রমণে প্রাথমিকভাবে জ্বর আসে, মাথা যন্ত্রণা হয়, গায়ে র্যাশও বেরোতে দেখা যায় কারও কারও ক্ষেত্রে৷ এ ছাড়া গ্ল্যান্ডের সমস্যাও দেখা যায়৷ এই লক্ষ্মণগুলি কয়েক দিন থেকে কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত থাকতে পারে৷কখন বিপদ হয় সবথেকে বেশি?নাইল ভাইরাস যদি কোনও ক্রমে মস্তিষ্কে পৌঁছে যায় তাহলেই বিপদ৷ মস্তিষ্কে পৌঁছলেই ছডি়য়ে পডে় সংক্রমণ৷ এই সংক্রমণ হলে মৃতু্য পর্যন্ত হতে পারে৷ এমনকি সেই সংক্রমণ মস্তিষ্ক ছাডি়য়ে পডে় সুষুম্নাকাণ্ডে৷ যার জেরে মানবশরীরের স্নায়ুতন্ত্র বিকল হয়ে পডে়৷ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যাদের কম যেমন বয়স্ক ও শিশুরা এই রোগে আক্রান্ত হয় বেশি৷
মানুষের দেহে এই রোগ হলে তা নিরাময়ের কোনও ওষুধ বা ভ্যাকসিন এখনও পর্যন্ত নেই৷ স্নায়ুতন্ত্র যাতে পুরোপুরি বিকল হয়ে না পডে় সে জন্য নিউরো-ইনভেসিভ পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়৷ সঙ্গে বিভিন্ন লাইফ সাপোর্ট সিস্টেমের মাধ্যমে ওই রোগের মোকাবিলা করা হয়৷