• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

জেলে সন্ত্রাসে মদত মামলায় ৭ রাজ্যে হানা দিল এনআইএ 

দিল্লি, ৫ মার্চ –  জেলের মধ্যে বন্দিদের সন্ত্রাসমূলক কাজে উৎসাহ দেওয়া এবং আত্মঘাতী হামলার ষড়যন্ত্র মামলায় মঙ্গলবার ৭ রাজ্যে হানা দিল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। ধৃতদের জেরা করে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সাত রাজ্যের মোট ১৭ টি জায়গায় একসঙ্গে হানা দেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, তামিলনাড়ু, কেরল, কর্নাটক-সহ সাত রাজ্যে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছেন তাঁরা। মূত্রের খবর,

দিল্লি, ৫ মার্চ –  জেলের মধ্যে বন্দিদের সন্ত্রাসমূলক কাজে উৎসাহ দেওয়া এবং আত্মঘাতী হামলার ষড়যন্ত্র মামলায় মঙ্গলবার ৭ রাজ্যে হানা দিল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। ধৃতদের জেরা করে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সাত রাজ্যের মোট ১৭ টি জায়গায় একসঙ্গে হানা দেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, তামিলনাড়ু, কেরল, কর্নাটক-সহ সাত রাজ্যে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছেন তাঁরা। মূত্রের খবর, সন্ত্রাসবাদী হামলার ষড়যন্ত্রে জড়িত সন্দেহভাজনদের সঙ্গে এই স্থানগুলির যোগ রয়েছে।  এই তল্লাশির পাশাপাশি সম্প্রতি বেঙ্গালুরুর রামেশ্বরমে ক্যাফে বিস্ফোরণের যোগসূত্র থাকার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না গোয়েন্দারা।

জানা গেছে, ঘটনার পিছনে রয়েছে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার জঙ্গি। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা বেঙ্গালুরুর সংশোধনাগারে বন্দিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে  প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এই অভিযান চালায় এনআইএ। সন্ত্রাসে উৎসাহ প্রদান এবং আত্মঘাতী হামলার ষড়যন্ত্র মামলায় চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি ১ জনের যাবজ্জীবন সাজা, এবং ২ পলাতক-সহ ৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করে এনআইএ।  সেই চার্জশিটে নাম থাকা দু’জন এখনও পলাতক। ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল। মনে করা হচ্ছে, পলাতকদের সন্ধানেই এই তল্লাশি অভিযান। সম্প্রতি বেঙ্গালুরুর ক্যাফেতে ঘটা বিস্ফোরণকাণ্ডে সন্দেহভাজনের সঙ্গে অভিযুক্তদের যোগ থাকতে পারে বলেও মনে করছে এনআইএ।
 
চার্জশিটে নাম থাকা অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছে কেরলের কান্নুর জেলার টি নাসিরের নাম। লস্করের অন্যতম সদস্য টি নাসির এই মামলা জড়িত বলে দাবি গোয়েন্দাদের। অভিযোগ, তিনি বেঙ্গালুরু জেলের মধ্যে একাধিক বন্দিকে সন্ত্রাসমূলক কাজকর্মে উৎসাহ দিয়েছিলেন। সেই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত জুনায়েদ আহমেদ এখনও পলাতক। এনআইএ গত বছর অক্টোবরে মামলাটি হাতে নেয়। তার পর জুনায়েদের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল। যদিও তাঁর খোঁজ পাওয়া যায়নি। 

উল্লেখ্য, গত বছর জুলাই মাসে বেঙ্গালুরু পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছিল। সাতটি পিস্তল, চারটি হ্যান্ড গ্রেনেড, অনেক রাউন্ড গুলি এবং চারটি ওয়াকি-টকি পাওয়া গিয়েছিল তল্লাশি অভিযানে। সেই অভিযানে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও এক জনকে গ্রেফতার করা হয়।

Advertisement

অন্যদিকে চার্জশিটে নাম থাকা জুনায়েদ  আহমেদ এবং সলমন খান বিদেশে পালিয়ে গেছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।  বাকিরা হলেন সৈয়দ সুহেল খান, মহম্মদ উমর, জাহিদ তবরেজ, সৈয়দ পাশা  এবং সাদাথ। ৮ জনকে ভারতীয় দণ্ডবিধি , বেআইনি কার্যকলাপ আইন, বিস্ফোরক পদার্থ আইন, এবং অস্ত্র আইনের বিভিন্ন ধারায় অভিযুক্ত করা হয়েছে।       

Advertisement

Advertisement