এবার চিকিৎসকদের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনতে চলেছে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন। জারি হয়েছে একগুচ্ছ নির্দেশিকা। ফলে এখন থেকে আর যা খুশি পোস্ট করা যাবে না সামাজিক মাধ্যমে। যখন তখন আন্দোলনও সংঘটিত করা যাবে না।
প্রসঙ্গত আর জি কর কাণ্ডের পর চিকিৎসকরা সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে একাধিক আন্দোলন সংঘটিত করেছিলেন। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীদের নিরাপত্তা নিয়ে একাধিক স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করে কমিটিও গঠন করা হয়েছে। সেই মামলায় চিকিৎসকদের একাধিক অনিয়মের অভিযোগ করা হয়েছে। এবার তাঁদের সেই অধিকারে রাশ টানলো ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন। কমিশন স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে, চিকিৎসকরা সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে এমনভাবে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন, যা তাঁদের নীতিবিরুদ্ধ কাজ।
Advertisement
কিন্তু কী সেই নির্দেশিকা? কমিশন নির্দেশিকায় জানিয়েছে, কোনও চিকিৎসক রোগীর থেকে প্রশংসা আদায় করে ভিডিও প্রকাশ করতে পারবেন না। এটাকে চরম অনৈতিক বলে দাবি করেছে কমিশন।
Advertisement
অনেক চিকিৎসক তাঁদের সোশ্যাল পেজ টাকার বিনিময়ে প্রমোশনিং করে রিচ বাড়ানোর চেষ্টা করেন। আর জি কর আন্দোলনের সময় এই ধরনের ঘটনা প্রচুর ঘটেছে। এভাবে আন্দোলনের প্রচারের দায়িত্ব নিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী, চিকিৎসকরা এবার থেকে তা আর করতে পারবেন না।
এছাড়া বাণিজ্যিক মঞ্চ হিসাবে চিকিৎসকদের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের ওপরও রাশ টানতে চলেছে কমিশন। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, যেসব চিকিৎসকের রেজিস্ট্রেশন রয়েছে, তাঁরা সামাজিক মাধ্যমে সরাসরি চিকিৎসা সংক্রান্ত কোনও দ্রব্যের বাণিজ্যিক প্রচার করতে পারবেন না। এমনকি সিটি স্ক্যান বা পেট সিটি স্ক্যানের মতো কোনও চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রচারও করতে পারবেন না।
পাশাপাশি, রোগীদের পরামর্শ দেওয়ার ক্ষেত্রে সরাসরি বা ঘুরপথে সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম ব্যবহার করা যাবে না। শুধু তাই নয়, সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম ব্যবহার করে চিকিৎসকদের নৈতিকতা বিরোধী কোনও কাজ করা যাবে না। রাষ্ট্র যেমন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তার দায়িত্ব নেবে, ঠিক তেমনি চিকিৎসকদেরও স্বাস্থ্যক্ষেত্রে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।
Advertisement



