জাতীয় বিপর্যয় কেন্দ্র রাজ্য কী করছে, প্রশ্ন শীর্ষ আদালতের

করােনা রােগীরা বেশিরভাগই বেড পাচ্ছেন না, সেইসাথে অক্সিজেন সাপাের্ট পাচ্ছেন না বলে অভিযােগ। হাজার হাজার দেশবাসী এই দুটি কারণেই মারা যাচ্ছেন বেশি।

Written by SNS Delhi | April 28, 2021 2:03 pm

পাটনার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বাইয়ের করোনায় মৃতের পরিজনের অসহায় কান্না (ছবিঃSNS)

সারাদেশে করােনা পজিটিভ সংখ্যা দৈনিক সাড়ে ৩ লাখের বেশি। এই বাংলায় আক্রান্ত হচ্ছেন গড়ে ১৬ হাজারের মত। করােনা রােগীরা বেশিরভাগই বেড পাচ্ছেন না, সেইসাথে অক্সিজেন সাপাের্ট পাচ্ছেন না বলে অভিযােগ। হাজার হাজার দেশবাসী এই দুটি কারণেই মারা যাচ্ছেন বেশি।

তাই করোনার বর্তমান পরিস্থিতি পর্যালােচনা করে সুপ্রিম কোর্ট এটিকে জাতীয় বিপর্যয় বলে ঘােষণা করেছে মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্র ও প্রতিটি রাজ্যের কাছে তারা এই পরিস্থিতি মােকাবিলায় কি কি করছে এবং তাদের পরিকাঠামাের স্টাটাস জানতে চেয়ে বিস্তারিত রিপাের্ট তলব করেছে।

আগামী শুত্রবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে বলে জানা গেছে। কেন্দ্রের কাছে সুপ্রিম কোর্ট জানতে চেয়েছে-এক সপ্তারে মত দেশে অক্সিজেন চাহিদা মেটানাের ক্ষমতা কি কেন্দ্রের রয়েছে? দেশে সর্বমােট চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী কত?

আগামী ১ মে থেকে ১৮ বছরের বেশি ব্যক্তিদের করােনা ভ্যাক্সিন দেওয়ার পরিকাঠামাে কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে? করােনা চিকিৎসায় রেমডেসিভি এবং ফাভিপিরাভি ঔষধ কি পাবেন রোগীর?

পাশাপাশি রাজ্য গুলির কাছে করােনা মােকাবিলায় কি কি প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে, সেইসাথে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামাে কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে রয়েছে? তার রিপাের্ট তলব করা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের পক্ষে বলা হয়েছে করােনার দ্বিতীয় ঢেউ আরও ভয়াবহ গােটা বিশ্বজুড়ে।

ভারতবর্ষে দিল্লির অবস্থা আরও শােচনীয়। দৈনিক গড় এখানে ২২ হাজারের বেশি। গত একদিনে মারা গেছেন ৩৮০ জন। মঙ্গলবার দুপুরে দিল্লির এক নিম্ন আদালত করােনা আক্রান্ত বিচারপতিদের চিকিৎসার জন্য পাঁচতারা হােটেলে কোভিড সেন্টার গড়ে চিকিৎসা চালানাের নির্দেশ দিয়েছে।

চাণকপুরী সাব ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট গীতা গ্রোভার এই নির্দেশ টি দিয়েছে। প্রাইমাস হাসপাতাল কে এক পাঁচতারা। হােটেলে কোভিড় সেন্টার গড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাঁচতারা হােটেলের ১০০ টি ঘর ইতিমধ্যেই বুক করা হয়ে গেছে।

হাসপাতালের যাবতীয় বিল মেটাবে প্রাইমাস হাসপাতালটি হাসপাতালের কর্মীরা বায়াে মেডিকেল বর্জ্য সরাবেন। বাকি সমস্ত কিছু পাঁচতারা হােটেলের কর্মীরা বিশেষ পােশাক পড়ে কাজগুলি করবে।

দিল্লি হাইকোর্ট-এর বিচারপতিরা, বিচারবিভাগীয় অফিক্সাররা এবং তাঁদের আত্মীয়রা করােনা পজিটিভ হলে এখানে চিকিৎসা করাবেন বলে জানা গেছে। এদিকে বিচারপতিরা জানিয়েছেন, আমরা ফাইভ স্টার হােটেল চাই না। সাধারণের সঙ্গে এইভাবে বিভেদ সৃষ্টি করা কখনই উচিত নয়।