• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম মহিলা উপাচার্য নাইমা খাতুন

উত্তরপ্রদেশ, ২৩ এপ্রিল –  আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম মহিলা উপাচার্যের পদে বসলেন।শতাব্দী প্রাচীন এই বিশ্ববিদ্যালয়ে সেখানকারই এক প্রাক্তনীকে এই পদে  নেওয়া হয়। ১০০ বছরেরও বেশি সময়ের ইতিহাসে প্রথমবার কোনও মহিলা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ আসনে নিযুক্ত হলেন অধ্যাপিকা নাইমা খাতুন। আগামী পাঁচ বছর তিনি এই পদে থাকবেন। শিক্ষামন্ত্রকের অনুমোদনের পরই রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু নতুন উপাচার্যের নিয়োগপত্রে

উত্তরপ্রদেশ, ২৩ এপ্রিল –  আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম মহিলা উপাচার্যের পদে বসলেন।শতাব্দী প্রাচীন এই বিশ্ববিদ্যালয়ে সেখানকারই এক প্রাক্তনীকে এই পদে  নেওয়া হয়। ১০০ বছরেরও বেশি সময়ের ইতিহাসে প্রথমবার কোনও মহিলা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ আসনে নিযুক্ত হলেন অধ্যাপিকা নাইমা খাতুন। আগামী পাঁচ বছর তিনি এই পদে থাকবেন। শিক্ষামন্ত্রকের অনুমোদনের পরই রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু নতুন উপাচার্যের নিয়োগপত্রে সই করেন। নির্বাচনের আদর্শ আচরণ বিধি মেনে উপাচার্য নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে জাতীয় নির্বাচন কমিশনেরও অনুমতি নেওয়া হয়েছে ।

আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়েরই ছাত্রী ছিলেন নাইমা। এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি সাইকোলজিতে পিএইচডি করেন। ১৯৮৮ সালে এই বিভাগেই অধ্যাপিকা হিসেবে যোগ দেন।  ২০১৪ সালে উইমেন্স কলেজের প্রিন্সিপাল হিসাবে যোগ দিয়েছিলেন নাইমা।

Advertisement

১৮৭৫ সালে তৈরি হয়েছিল মুহাম্মদান অ্যাংলো-ওরিয়েন্টাল কলেজ। ১৯২০ সালে এই কলেজ আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত হয়। আলিগড় মুসলিম ইউনিভার্সিটি অ্যাক্ট মেনেই তা তৈরি হয়েছিল। সে সময় চ্যান্সেলার হিসাবে যোগ দিয়েছিলেন বেগম সুলতান জাহান। তিনি ছিলেন একমাত্র মহিলা আচার্য। আর এবার প্রথম মহিলা উপাচার্য নিয়োগ হল আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে।

Advertisement

২০২৩ সালের এপ্রিলে তাঁর পূর্বসূরি তারিক মনসুরের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর এই বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনও পূর্ণ সময়ের উপাচার্য ছিলেন না।  উপাচার্য পদের জন্য এর আগে ২০২৩ সালের নভেম্বরে এলাহাবাদ হাই কোর্টে মামলা হয়।  মামলায় অভিযোগ করা হয়, নাইমার স্বামী মহম্মদ গুলরেজ, যিনি ওই কলেজেরই অধ্যাপক , তাঁর নেতৃত্বাধীন কমিটি নাইমার নাম তালিকাভুক্ত করেন, যিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায়।  বিষয়টি নিয়ে উচ্চ আদালতে চ্যালেঞ্জ করা হয় এবং তা বিচারাধীন রয়েছে। এরই মধ্যে নাইমা খাতুনকে উপাচার্য পদে নিয়োগ করলেন রাষ্ট্রপতি।  সাহিত্য জগতেও নাইমা খাতুনের বিশেষ পরিচিতি রয়েছে।  

Advertisement