অন্তর্দেশীয় বিমান পরিষেবা শুরুর দিনেই বাতিল একাধিক বিমান, আগে থেকে না জানানোয় ক্ষুব্ধ যাত্রীরা

দু’মাস পরে, সোমবার শুরু হয়েছিল অন্তর্দেশীয় বিমান পরিষেবা। ফলে অনেক যাত্রীই টিকিট কেটে জড়ো হয়েছিলেন দিল্লি, মুম্বই-সহ একাধিক বড় বিমানবন্দরে।

Written by SNS New Delhi | May 26, 2020 9:58 pm

চালু হয়েছে অন্তর্দেশীয় বিমান পরিষেবা। (File Photo by Arun SANKAR / AFP)

কাতারে কাতারে যাত্রীরা। ভিড় করেছিলেন বিমানবন্দরে। কারণ দু’মাস পরে, সোমবার শুরু হয়েছিল অন্তর্দেশীয় বিমান পরিষেবা । ফলে অনেক যাত্রীই টিকিট কেটে জড়ো হয়েছিলেন দিল্লি, মুম্বই-সহ একাধিক বড় বিমানবন্দরে। কিন্তু অভিযোগ, যাত্রীদের না জানিয়েই বাতিল করে দেওয়া হয়েছে বহু বিমান। ফলে ভোগান্তির মুখে বহু যাত্রী।

জানা গেছে, দিল্লি থেকেই বাতিল হয়েছে ৮২ টি বিমান। এদিকে দিল্লি বিমানবন্দরের বিভিন্ন টার্মিনালে ইতিমধ্যেই পৌঁছে গেছে যাত্রীরা। লকডাউনের মধ্যে, করোনা-সতর্কতা নিয়ে শহরের নানা প্রান্ত থেকে এসেছেন তাঁরা। বিমানবন্দরে কেউ পরিবারের কাছে ফিরবেন, কেউ আবার অসুস্থ শরীরে চিকিৎসা করাতে যাবেন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে পর্যন্তও কিছু জানানো হয়নি তাঁদের।

একই ঘটনা ঘটেছে মুম্বইয়ের ছত্রপতি শিবাজি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেও। সেখানেও বহু যাত্রীকে বসে থাকতে দেখা যায়, যাঁরা করোনায় তছনছ হয়ে যাওয়া মহারাষ্ট্রের নানা প্রান্ত থেকে বিমানবন্দরে এসে পৌঁছে জানতে পেরেছে, তাঁদের উড়ান বাতিল হয়ে গেছে।

জানা গেছে, মুম্বই বিমানবন্দরে আপাতত দৈনিক পঞ্চাশটি বিমান ওঠানামা করবে। ২৫ টি উড়ে যাবে অন্যত্র ২৫ টি এসে নামবে। ফলে ওই বিমানগুলি ছাড়া যাঁদের অন্য বিমান যাওয়ার কথা ছিল, তাঁরা সকলেই বিপদে পড়েছেন আচমকা।

মুম্বই বিমানবন্দরের বহু যাত্রীকে জানানো হয়েছে, তাঁদের বিমান দেরি করে হলেও মিলবে। হয়তো সকালের বিমান রাতে আসবে। কিন্তু এর কোনওটাই নিশ্চিত নয়। অথচ বিমানবন্দরের বাইরে বহু মানুষের ভিড় বেড়েই চলেছে। সকলকে থার্মাল স্ক্রিনিং সহ অন্যান্য পরীক্ষা করে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে বিমানবন্দরে, ফলে আরও বেশি সময় লাগছে ঢুকতে। ভিড়ও বাড়ছে, সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করার বিষয়টি মুশকিল হয়ে উঠছে ক্রমে।

কয়েক দিন আগেই অসামরিক বিমানমন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী টুইট করে বলেন, দেশের অর্থনীতি পুনরায় চালু করতে অন্তর্দেশীয় বিমান পরিষেবা চালু করা হচ্ছে। তবে বেশ কিছু নিয়ম মানতে হবে যাত্রীদের। বিমানবন্দরে তাঁদের থার্মাল স্ক্রিনিং করা হবে। মাস্ক ও গ্লাভস পরা বাধ্যতামূলক। সেইসঙ্গে স্যানিটাইজার সঙ্গে রাখতে হবে। অন্য যাত্রীদের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।

সেই মতোই প্রথম দিনেই অসংখ্য যাত্রীকে দেখা যায় বিমানবন্দরে ভিড় করতে। কেন্দ্রের সব নির্দেশিকা মেনেই শুরু হয় এই বিমান পরিষেবা। ভিড় থাকলেও সবাই একটা নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখেছিলেন প্রথমে। সেনাবাহিনীর কর্মী, বেসরকারি অফিসের কর্মী ও পড়ুয়াদের ভিড় দেখা যায় বেশি।

কিন্তু বিমান বাতিলের খবর আসতেই সব গন্ডগোল হয়ে যায়। যাত্রীরা অভিযোগ তোলেন, আগে থেকে ঘোষণা করা হয়নি কেন বিমান বাতিলের কথা।