ঝাড়খণ্ডের সিন্দ্রিতে ৩৫,৭০০ কোটি টাকার প্রকল্পের সূচনা করলেন মোদি 

Written by SNS March 1, 2024 6:40 pm
রাঁচি, ১ মার্চ –  বাংলায় আসার আগে প্রতিবেশি ঝাড়খণ্ড রাজ্যকে ৩৫,৭০০ কোটি টাকার উন্নয়নমূলক প্রকল্পের সূচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এর মধ্যে রয়েছে সিন্দ্রির  ‘হিন্দুস্তান উরভারক অ্যান্ড রসায়ন লিমিটেড’-এর সার কারখানা। এই কারখানার পুনরুজ্জীবন হবে নতুন প্রকল্পের মাধ্যমে। এর আগেও গোরখপুর, রামাগুন্ডম এবং বারাউনিতে তিনটি সার কারখানা পুনরুজ্জীবিত করা হয়েছে। এটি দেশের চতুর্থ পুনরুজ্জীবিত হওয়া সার কারখানা। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “ পূর্ব ভারতে সার কারখানাগুলি পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা করছি আমরা। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণন, মুখ্যমন্ত্রী চম্পাই সোরেন এবং কেন্দ্রীয় রাসায়নিক ও সার মন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্য প্রমুখ।
 

২০১৮ সালে সিন্দ্রি ফার্টিলাইজার প্ল্যান্ট ফের চালু করার প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন প্রদানমন্ত্রী । এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এটা ছিল মোদির গ্যারান্টি পূরণ করলাম।” প্রধানমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, এই সার কারখানা চালুর ফলে স্থানীয় যুবকদের কর্মসংস্থানের নতুন পথ উন্মোচিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর মতে, আত্মনির্ভর ভারত গঠনের যাত্রাপথে এই কারখানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি জানান, ভারতে প্রতি বছর ৩৬০ লক্ষ মেট্রিক টন ইউরিয়া সারের প্রয়োজন হয়। ২০১৪ সালে ভারত মাত্র ২২৫ লক্ষ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার উত্পাদন করেছিল। বাকি চাহিদা মেটাতে বিশাল পরিমাণে সার আমদানি করতে হত। গত ১০ বছরে মোদি  সরকারের প্রচেষ্টায় ভারতের ইউরিয়া সারের উৎপাদন ৩১০ লক্ষ মেট্রিক টনে পৌঁছেছে।”

প্রধানমন্ত্রী এদিন ঝাড়খণ্ডে তিনটি নতুন ট্রেনের যাত্রার সূচনা করেন। এই তিনটি ট্রেন হল, দেওঘর – ডিব্রুগড় ট্রেন, তাতনগর এবং বাদামপাহারের মধ্যে মেমু ট্রেন পরিষেবা এবং শিবপুর থেকে দূরপাল্লার মালবাহী ট্রেন। ঝাড়খণ্ডের ছাতরা জেলার উত্তর করণপুরা সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্টও দেশকে উৎসর্গ করেছেন। তেইশ বছর আগে, ১৯৯৯ সালের ৬ মার্চ তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী এই প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন। এনটিপিসি জানিয়েছে, এদিন থেকেই এই সুপার থার্মাল পাওয়ার স্টেশনের প্রথম ইউনিটটি বাণিজ্যিকভাবে কাজ করা শুরু করল। এই ইউনিটের ক্ষমতা ৬৬০ মেগাওয়াট।২ মার্চ বিহারে যাবেন প্রধানমন্ত্রী ।

এদিন ঝাড়খণ্ডের ধানবাদেও সভা ছিল প্রধানমন্ত্রীর। সেখানে ছোট প্যান্ডেল হওয়ায়  অধিকাংশ মানুষকেই চড়া রোদে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় । এর জন্য ঝাড়খণ্ডের সভায় আগত কর্মী-সমর্থকদের কাছে এর জন্য ক্ষমা চান প্রধানমন্ত্রী। তাদের এই আত্মত্যাগ বিফলে যাবে না বলেই জানান প্রধানমন্ত্রী ।

প্রধানমন্ত্রী এদিন ঝাড়খণ্ডের শাসক দল ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা পার্টিকে আক্রমণ করে বলেন, “এখন জেএমএমের অর্থ হল জম কর খাও। লুটেপুটে খাওয়া চলছে রাজ্যে। কংগ্রেস ও জেএমএম-দুই দলই ঝাড়খণ্ডের আদিবাসীদের শুধু ভোট ব্যাঙ্ক মনে করে। ওরা ঝাড়খণ্ডের যুব সম্প্রদায়কে এগিয়ে যেতে দেবে না, কারণ এরা শুধু নিজেদের পরিবারের কথা ভাবে।”

তিনি আরও বলেন, “ওরা যেখানে পরিবারতন্ত্র ও নিজেদের সন্তানদের নিয়ে চিন্তিত, সেখানে মোদি  আপনাদের ও আপনাদের পরিবারের চিন্তা করে। আপনারাই আমার পরিবার ও সন্তান। দেশবাসীরও বিশ্বাস রয়েছে মোদির উপর। সেই কারণেই ৪০০ পেরিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে আমরা নিশ্চিত ।”