অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে অবৈধ নির্মাণের অভিযোগ ঘিরে শোরগোল। তাঁকে নোটিস ধরাল বৃহন্মুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন বা বিএমসি। মুম্বইয়ের মালাডের মাধ এলাকায় এরাঙ্গল গ্রামে মিঠুনের একটি বাড়ি রয়েছে। অভিযোগ, সেই বাড়িটির নীচের অংশে বেআইনি ভাবে সংস্কার করা হয়েছে। সেই কারণেই পুরসভার তরফে শোকজ করা হয়েছে। সূত্রের খবর, মিঠুন একা নন, অনেকের কাছেই এই নোটিস পৌঁছেছে। আপাতত তারকা আইনি পথে উত্তর দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। অবৈধ সংস্কারের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন মিঠুন।
অভিনেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ, মালাডের এরাঙ্গল এলাকায় অবস্থিত তাঁর একটি প্রপার্টিতে অনুমতি ছাড়াই গ্রাউন্ড ও মেজানাইন ফ্লোর নির্মাণ করা হয়েছে। নোটিসে উল্লেখ করা হয়েছে, দুটি গ্রাউন্ড ফ্লোর ইউনিট যার মধ্যে রয়েছে মেজানাইন ফ্লোর, তিনটি ১০/১০ ফিটের অস্থায়ী ইউনিট, যা তৈরি হয়েছে ইটের দেওয়াল, কাঠের তক্তা, কাচের পার্টিশন ও এসি শিট ছাদ ব্যবহার করে। এই নির্মাণগুলো বিএমসির অনুমতি ছাড়া করা হয়েছে, যা নিয়মবিরুদ্ধ বলে জানানো হয়।
পুরনিগমের পক্ষ থেকে জারি করা নোটিসে মিঠুন চক্রবর্তীকে ৭ দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে। নোটিসে উল্লেখ রয়েছে, যদি সন্তোষজনক ব্যাখ্যা না দেওয়া হয়, তবে নির্মিত ওই পরিকাঠামো ভেঙে ফেলা হবে। ভেঙে ফেলার খরচও মালিককে বহন করতে হবে। এমনকি আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে বলেও জানানো হয়েছে। এই প্রসঙ্গে মিঠুন জানান, তিনি কোনও অবৈধ কাজ করেননি। সকলকেই এই নোটিস পাঠানো হয়েছে। তাঁরা তাঁদের জবাবও দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
মিঠুনের বাড়ির ক্ষেত্রে পুরসভার অভিযোগ, প্রয়োজনীয় অনুমতি ছাড়াই ওই জমির উপর ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। ১৮৮৮ সালের বৃহন্মুম্বই মিউনিসিপাল কর্পোরেশন আইন অনুযায়ী ৩৩৭, ৩৪২, ৩৪৭ ধারায় মামলা হতে পারে মিঠুনের বিরুদ্ধে। কেন ওই নির্মাণ একেবারে ভেঙে ফেলা বা পুনর্সংস্কার করা হবে না, আইন মোতাবেক তার ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে মিঠুনের কাছে। এছাড়া, ধারা ৪৭৫এ অনুযায়ী দোষী সাব্যস্ত হলে আর্থিক জরিমানা এবং কারাদণ্ডের বিধানও রয়েছে।
বৃহন্মুম্বই পুরনিগম সূত্রে খবর, মুম্বইয়ের মাধ এলাকায় কমপক্ষে ১০০টি অবৈধ নির্মাণকে চিহ্নিত করা হয়েছে। রয়েছে বেশ কয়েকটি বাংলোয়। সেই তালিকাতেই নাম জুড়েছে মিঠুনের। ভুয়ো নথি ব্যবহার করে একাধিক নির্মাণেরও অভিযোগ রয়েছে এই এলাকায়। মে মাসের মধ্যেই সমস্ত বেআইনি নির্মাণ ভেঙে দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে বিএমসি।
মিঠুন চক্রবর্তী এর আগেও আইনি জটিলতায় জড়ান। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের উপস্থিতিতে তৃণমূলকে বিঁধতে গিয়ে মিঠুন উস্কানিমূলক মন্তব্য করেন। সেই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতেই বিধাননগর দক্ষিণ থানা ও বউবাজার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। ওই ঘটনার জল গড়ায় কলকাতা হাইকোর্টেও। ছবির সংলাপ সংক্রান্ত বিতর্কেও জড়ান মিঠুন চক্রবর্তী। সেই নিয়েও মামলা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে।