লালুর বাড়িতে খেতে দেওয়া হত না তেজের স্ত্রীকে, ডিভোর্স নিয়ে যাদবকূলের গোপন কথা ফাঁস ঐশ্বর্যের

বহুদিন ধরেই বিহারের অন্যতম প্রভাবশালী রাজনৈতিক দুই পরিবারের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসতে থাকে, যার দুই প্রান্তে ছিলেন বিহারের দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর পরিবার।

Written by SNS Patna | October 1, 2019 2:08 pm

ঐশ্বর্য ও তেজপ্রতাপ। (File Photo: IANS)

বহুদিন ধরেই বিহারের অন্যতম প্রভাবশালী রাজনৈতিক দুই পরিবারের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসতে থাকে, যার দুই প্রান্তে ছিলেন বিহারের দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর পরিবার। একদিকে রাই বংশ অন্যদিকে যাদব বংশ।

উল্লেখ্য, লালুপ্রসাদের পুত্র তেজপ্রতাপের হাইপ্রােফাইল ডিভাের্সের খবর বিহারের রাজনীতিতেও প্রভাব ফেলেছিল বেশ। আর সেই ডিভাের্স নিয়ে এতদিন তেজপ্রতাপ শিবিরের বিভিন্ন খবর উঠে এসেছে। এবার তেজের প্রাক্তন স্ত্রী ঐশ্বর্য মুখ খুলেছেন ডিভাের্সের বিষয়ে। তাতে উঠে এসেছে লালু পরিবার সম্পর্কে একাধিক অভিযােগ।

ডিভাের্সের প্রক্রিয়ার বিষয়ে মুখ খুলে লালুপ্রসাদের প্রাক্তন পুত্রবধূ ঐশ্বর্য জানিয়েছেন, তাঁর সংসারে ভাঙনের নেপথ্যে রযেছেন লালু কন্যা মিশা ভারতী। লালু পরিবারের বিরুদ্ধে তিনি তােপ দেগে বলেন, তাঁকে শ্বশুরবাড়িতে খেতে দেওয়া হত না। প্রতিদিন তাঁর বাপের বাড়ির পাঠানাে খাবার খেতে হয়েছে তেজপ্রতাপের স্ত্রী ঐশ্বর্যকে। এমনকি রান্নাঘরে পর্যন্ত ঢুকতে দেওয়া হয়নি ঐশ্বর্যকে। এমনই দাবি যাদবকূলের পুত্রবধূর।

ঐশ্বর্য জানান, তিনি তেজের সঙ্গে সংসার করতে চেয়েছিলেন। তাঁর স্বামী ডিভাের্স পিটিশন ফাইল করার পরও তিনি ওই বাড়িতেই ছিলেন। আর তখনই তাঁকে খাবার দেওয়া বন্ধ করা হয় বলে জানান ঐশ্বর্য। এই খবর শুনেই ছুটে আসেন ঐশ্বর্যর বাবা-মা। তেজের স্ত্রীর দাবি, তিনি রান্নাঘরে ঢুকতে গেলেও শাশুড়ি তথা প্রাক্তন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ি দেবীর পরিচারকরা তেজপ্রতাপের স্ত্রীকে অপমান করেন।

যখন লালু পরিবারে এমনভাবে ঐশ্বর্য অপমানিত হচ্ছেন, তখন গােটা পরিস্থিতি তিনি ভিডিও বন্দি করতে চান। সেই সময় বাড়ির পরিচারকরা তাঁকে আটকে ফেলেন। সেই সময় মহিলা হেল্পলাইনে ফোন করতে চেয়েও তা করতে পারেননি তেজবধূ। এরপর ক্রমাগত তেজ ও ঐশ্বর্যের সম্পর্কে নাক গলাতে থাকেন ননদ মিশা। এমনই অভিযােগ তুলে ঐশ্বর্য দাবি করেন যে, বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও লালুর বাড়িতেই থাকেন তাঁর ননদ মিশা ভারতী। আর তিনিই সংসারে ভাঙনের অন্যতম কাণ্ডারী। তবে দেওর তেজস্বী সবসময় তাঁর পাশে ছিলেন বলে জানিয়েছেন ঐশ্বর্য।