১৪ বছর বয়সী দলিত কিশোরীকে অপহরণ করে টানা দু’মাস ধরে নির্যাতন এবং গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল। উত্তর প্রদেশের মোরাদাবাদ জেলার ঘটনা। পুলিশের দাবি, মোট চারজন এই ঘটনায় যুক্ত রয়েছেন। একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি তিনজনের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগ, চলতি বছরের ২ জানুয়ারি ওই কিশোরী দোকানে যাচ্ছিল। সেই সময় তাকে অপহরণ করা হয়। সলমন, জুবের, রশিদ এবং আরিফ নামে চার যুবক ওই কিশোরীকে জোর করে গাড়িতে তোলে এবং মাদক খাইয়ে দেয়। এর ফলে ওই কিশোরী জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। তারপর ওই চার যুবক কিশোরীকে একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে ক্রমাগত নির্যাতন চালায়।
Advertisement
ভগতপুর থানার স্টেশন হাউস অফিসার সঞ্জয় কুমার পাঞ্চাল বলেন, নির্যাতিতার পরিবারের দায়ের করা অভিযোগ অনুযায়ী, ওই চার অভিযুক্ত কিশোরীর হাতে থাকা ‘ওঁ’ ট্যাটু অ্যাসিড দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। শুধু তাই নয়, ওই কিশোরীকে জোর করে মাংস খাওয়ানো হয় এবং নির্যাতনের মাত্রা ক্রমেই বাড়তে থাকে।
Advertisement
প্রায় দু’মাস যাবত অত্যাচার চলে কিশোরীর ওপর। এরপর ২ মার্চ কোনওভাবে পালিয়ে বাড়িতে চলে আসে ওই কিশোরী। ভগতপুর থানায় অভিযোগ জানায় তার পরিবার। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, পকসো আইনে মামলা রুজু হয়েছে। পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) কুনওয়ার আকাশ সিং বলেন, সলমন নামে এক অভিযুক্তকে মঙ্গলবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। এদিকে নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগ, মামলা তোলার জন্য তাঁদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
Advertisement



