প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজ, ফাঁসি ১’লা ফেব্রুয়ারি

২২ জানুয়ারি ফাঁসির দিন ধার্য হলেও শেষ মুহুর্তে ভয়ঙ্কর ঘটনার জন্য মুকেশ প্রাণভিক্ষার আবেদন করায় চার দোষীর ফাঁসির দিন পিছিয়ে দেওয়া হয়।

Written by SNS New Delhi | January 18, 2020 1:49 pm

কোর্টের বাইরে নির্ভয়ার মা-বাবা। (Photo: Amlan Paliwal/IANS)

শেষ চেষ্টাও ব্যর্থ- প্রত্যাশামতােই মুকেশের প্রাণভিক্ষার সর্বশেষ আবেদনটিও খারিজ করে দিলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। হতাশা ও নিরাশা মুহুর্তের মধ্যে বদলে গেল, ফের আশায় বুক বাঁধলেন আশা দেবী, কেননা তিনি ভয়ঙ্কর নির্মমতার শিকার মেয়ের শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত যন্ত্রণার কঠোর সাক্ষী থেকেছেন, পাশাপাশি টানা সাত বছরের আইনি লড়াইয়ে দেশের বিচার ব্যবস্থার বাস্তব চিত্রটাকেও সামনে থেকে দেখেছেন- প্রতি মুহুর্তে হতাশা তাঁকে গ্রাস করেছে, তারিখের পর তারিখ, এক কোর্ট আরেক কোর্টে দৌড়ানাে, লক্ষ্য মেয়ের ধর্ষকদের চরম শাস্তি।

দেশের আইন তাঁকে নিরাশ করেনি, শুধু দোষীদের নির্লজ্জতায় ভরা আবেদনের পর আবেদনের জেরে ন্যায় পেতে বিলম্ব হচ্ছে- দিন বদলেছে মাত্র, শাস্তি নয়, ১’লা ফেব্রুয়ারি ভাের ছটার সময়ে প্রাণদণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত চার আসামিকে ফাঁসিতে ঝােলানাে হবে।

দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজ করে দেওয়ার সুপারিশ রাষ্ট্রপতি ভবনে পাঠানাের কয়েক ঘন্টার মধ্যে রাষ্ট্রপতি মুকেশের প্রাণভিক্ষার আবেদনটি খারিজ করে দেন। ২২ জানুয়ারি ফাঁসির দিন ধার্য হলেও শেষ মুহুর্তে ভয়ঙ্কর ঘটনার জন্য মুকেশ প্রাণভিক্ষার আবেদন করায় চার দোষীর ফাঁসির দিন পিছিয়ে দেওয়া হয়।

রাষ্ট্রপতি কোবিন্দ মন্ত্রীসভার সুপারিশ মানতে বাধ্য থাকেন, নির্ভয়া কাণ্ড দেশের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সরাসরি তিহার জেল কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেবে। মুকেশের আবেদন খারিজ হয়ে গেলেও বিনয় শর্মা, অক্ষয় ঠাকুর, পবন গুপ্তা যে কোনও সময়ে প্রাণভিক্ষার আবেদন করতে পারেন।

দিল্লি আদালতের বিচারপতি বলেছিলেন, মুকেশ ফাঁসির দিন বাতিল করার জন্য আবেদন করেছে। তবে ভারতীয় আইন প্রাণদন্ডের সাজাপ্রাপ্ত আসামিদেরকে চরম শাস্তির জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত হওয়ার জন্য ১৪দিন সময় দেয়।

নির্ভয়া গণধর্ষণ কাণ্ডে দু’জন দোষীর সংশােধনী আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। গণধর্ষণ কাণ্ডে দোষীদের মধ্যে মুকেশ, পবন গুপ্তা, বিনয় শর্মা ও অক্ষয় ঠাকুর’কে প্রাণদন্ডে দন্ডিত করা হয়েছে। ঘটনায় দোষী রাম সিং তিহার জেলে আত্মহত্যা করেন, নাবালক হওয়ার কারণে একজনকে সংশােধনাগারে পাঠানাে হয়।

বিচারপতি এন ভি শর্মা, বিচারপতি অরুণ মিশ্র, বিচারপতি নরিম্যান, বিচারপতি আর ভানুমতি, বিচারপতি অশােক ভূষণ দোষী বিনয় শর্মা ও মুকেশ শর্মার আবেদন খারিজ করে দেন। সংশােধনী আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ার পর দোষীদের মধ্যে মুকেশ প্রাণভিক্ষা চেয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করেছিলেন। পবন গুপ্তা ও অক্ষয় ঠাকুর সংশােধনী আবেদন করেননি। উপ মুখ্যমন্ত্রীও জানিয়েছিলেন, তাঁর প্রশাসনের তরফেও দোষীদের আবেদন খারিজ করে দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।