মণিপুর সমস্যা মেটানোর জন্য কেন্দ্র সরকারকে আরও উদ্যোগী ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে। বৃহস্পতিবার খড়্গপুরে এক জাতীয় স্তরের ক্যারাটে প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করতে এসে এই মন্তব্য করেন মণিপুর সমস্যা মেটানোর জন্য তৈরি সিটের প্রাক্তন প্রধান আনন্দ মিশ্র। প্রাক্তন এই আইপিএস আধিকারিক বলেন, মণিপুরে তৈরি সিটের প্রধান হিসেবে সমস্যার কারণ এবং তার প্রভাব সম্বন্ধে বিস্তারিত তথ্য আমি জানি। কিন্তু আমি মুখ খুলব না। কারণ, তার ফলে বিষয়টির রাজনীতিকরণ হতে পারে। তবে এটুকু বলতে পারি, মণিপুরে জাতিগত সমস্যা রয়েছে। কিন্তু শুধুই জাতিগত সমস্যার জন্য হিংসা তৈরি হয়নি। তার পিছনে আরও অনেক কারণ রয়েছে। কেন্দ্র সরকার চাইলে দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হতে পারে। কিন্তু কেন্দ্র একটা নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। এর ফলে সারা দেশে একটা ভুল বার্তা যাচ্ছে যে, দেশের অন্যত্র জাতিগত সমস্যা তৈরি হলে, আগুন জ্বললে কেন্দ্র এইরকমই নিস্পৃহ ভূমিকা পালন করবে।
এই রাজ্যেই পড়াশোনা করে ডব্লুবিসিএস আধিকারিক হিসেবে বেশ কিছুদিন কাজ করেছেন আনন্দ মিশ্র। পশ্চিমবঙ্গ বিষয়ে তিনি বলেন, বাম আমলে সরকারি আধিকারিক হিসেবে কাজ করতে গিয়ে সব জায়গাতেই প্রথমে না শুনতে হতো। উন্নয়ন এবং পরিবর্তন সহজে এখানকার শাসক গ্রহণ করত না। অনেক আশা নিয়ে মমতা ব্যানার্জিকে রাজ্যের মানুষ ক্ষমতায় নিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন হয়নি। বাংলার মানুষ যেন একটা দম বন্ধ করা পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছেন। সব কিছুতেই অন্যকে দোষ দেওয়ার প্রবণতা রয়েছে । এখানকার মানুষ মুক্ত পরিবেশ চাইছেন। বাংলার মতো রাজনৈতিক হিংসা দেশের অন্য কোথাও হয় না। এটা বাংলার ছবি সারা দেশে নষ্ট করছে ।
আইপিএসের চাকরি ছেড়ে প্রশান্ত কিশোরের জন সুরাজ পার্টিতে যোগ দিয়েছেন আনন্দ। বর্তমানে তিনি জন সুরাজ পার্টির বিহারের রাজ্য যুব সভাপতি। আনন্দ উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, পশ্চিমবঙ্গে যেভাবে আর্টিফিশিয়ালি ডেমোগ্রাফি চেঞ্জ করা হচ্ছে তা দেশের পক্ষে মঙ্গলজনক নয়।
ছোটদের শিক্ষা, বয়স্কদের ওষুধ এবং মহিলাদের স্বাবলম্বী করে তোলা, জাতপাতের রাজনীতি বিসর্জন দেওয়ার ডাক দিয়ে আগামী ২৯ তারিখ থেকে বিহারের ব্লকে ব্লকে যাওয়ার জন্য যাত্রা শুরু করছেন আনন্দ।
খড়্গপুরের গীতাঞ্জলি হলে খড়গপুর যুব ক্যারাটে একাডেমির উদ্যোগে আয়োজিত ২৪ তম জাতীয় জাপান কেনইউ রিইউ ওপেন ক্যারাটে চ্যাম্পিয়নশিপের উদ্যোক্তা খড়গপুর যুব ক্যারাটে একাডেমির তরফে আনন্দ গোস্বামী জানান, প্রতিযোগিতায় ৪৫০ জন যোগ দিয়েছেন। তিন দিন ধরে এই প্রতিযোগিতা চলবে। উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অভিষেক যাদব, দীপক কুমার দাশগুপ্ত ।