দিল্লির গাজিপুরে প্রেমিকার বিয়ের আসরের বাইরেই গায়ে আগুন দিলেন এক যুবক। অভিযোগ, গাড়ির মধ্যে বসেই তিনি আত্মহত্যা করেন। যুবকের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। যুবকের পরিবারের অভিযোগ, এটি আত্মহত্যা নয়, খুনের ঘটনা। কনের পরিবারের বিরুদ্ধে খুনের চক্রান্তের অভিযোগ আনা হয়েছে।
ফেব্রুয়ারি মাসে ওই যুবকেরও অন্যত্র বিয়ে ঠিক হয়েছিল। তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই যুবক আত্মহত্যাই করেছেন। যুবকের নাম অনিল প্রজাপতি। পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার রাত ১১টা নাগাদ গাড়ির ভিতর থেকে যুবকের দেহ উদ্ধার করা হয়। গাড়ির একাংশও পুড়ে গিয়েছিল। প্রাথমিকভাবে একে আত্মহত্যার ঘটনা বলেই মনে করা হচ্ছে।
যুবকের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জানতে পারে, কনের সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু সম্পর্কে কনে তাঁর আত্মীয়। একই পরিবারের মধ্যে বিয়ে কেউ মেনে নেননি। তাই দু’জনেরই অন্যত্র বিয়ে ঠিক করা হয়। এর পর থেকেই দুই পরিবারের মধ্যে গন্ডগোল চলছিল বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা।
যুবকের ভাই জানিয়েছেন, ঘটনার কয়েক মিনিট আগেও তাঁর সঙ্গে যুবকের ফোনে কথা হয়। যুবক নিজের বিয়ের কার্ড দিতে নয়ডা থেকে দিল্লিতে এসেছিলেন। তাই তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে মানতে পারছেন না পরিবারের অনেকেই। তাঁদের অভিযোগ, কনের পরিবারই তাঁকে খুনের ষড়যন্ত্র করেছে।
যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কনের পরিবারের সদস্যেরা। এই নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে ব্যাপক গন্ডগোল হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। প্রাথমিক ভাবে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে দিল্লি পুলিশ। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিয়েবাড়ির লোকজন, কনের পরিবার এবং যুবকের পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।