মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাচ্ছেন দিল্লি সফরে। সেখানে সাক্ষাৎ করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে, বলে সূত্রের খবর। জানা গিয়েছে, ২২ নভেম্বর দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেবেন তিনি। সেখানে মমতা-মোদী সাক্ষাৎকারের সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে এই সাক্ষাৎকারে বিএসএফ-এর এক্তিয়ার বৃদ্ধি এবং রাজ্যের বকেয়া পাওনা নিয়ে আলোচনা করতে পারেন তাঁরা।
Advertisement
নবান্নের এক উচ্চ পদস্থ আধিকারিকের কথায়, ‘এর আগে দিল্লি সফরে রাজ্যের বকেয়া পাওনা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য পেশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এই প্রসঙ্গ উত্থাপন করতে পারেন তিনি।
Advertisement
এছাড়াও বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের এক্তিয়ার ১৫ কিলোমিটার থেকে ৫০ কিলোমিটার করে দেওয়ার যে সিদ্ধান্ত কেন্দ্র নিয়েছে তা পুনরায় ভেবে দেখার সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য অনুরোধ করতে পারেন মমতা।’
প্রসঙ্গত, গত জুলাই মাসে দিল্লি সফরে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘বাংলা প্রয়োজনের থেকে অনেক কম কোভিড টিকা পেয়েছে। টিকা নিয়ে এই সমস্যার কথা প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছি।
তিনি বলেছেন অবশ্যই বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন তিনি। শুধু মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎই নয়, সোনিয়া গান্ধির সঙ্গেও দেখা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু, সেই সময় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তাকে দেখা করতে দেওয়া হয়নি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, তার থেকে আরটিপিসিআর কোভিড টেস্টের রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। তার দুটি টিকাই নেওয়া। কিন্তু, দিল্লিতে কোথায় টেস্ট করাবেন তিনি। তাই রাষ্ট্রপতি-মুখ্যমন্ত্রী সাক্ষাৎ সম্ভব হয়নি।
জানা গিয়েছে ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত দিল্লিতে থাকবেন তিনি। এই সময় দিল্লিতে অন্যান্য আঞ্চলিক দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মনে করা হচ্ছে এমনটাই।
তবে সোনিয়া গান্ধী বা রাহুল গান্ধীর সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠক করবেন কিনা, তা স্পষ্ট নয়। এক প্রথম সারির তৃণমূল নেতার কথায়, ‘দিদির দিল্লি সফরে বেশ কিছু চমক থাকতে পারে।
জাতীয় রাজনীতির বেশ কিছু বড় নাম তাঁর দিল্লিতে থাকাকালীন তৃণমূলে যোগ দিতে পারে। তবে এখনই কোনও নাম ঘোষণা করতে চায় না দল।’
Advertisement



