• facebook
  • twitter
Tuesday, 16 December, 2025

মহাজনের চাপে ঋণের ফাঁদে কিডনি বিক্রি

১ লক্ষ টাকার ঋণ সুদে-আসলে ৭৪ লক্ষ, কম্বোডিয়া যেতে বাধ্য হলেন মহারাষ্ট্রের কৃষক

চন্দ্রপুর জেলার কৃষক রোশন সদাশিব কুড়ে।

চন্দ্রপুর, ১৬ ডিসেম্বর— সুদে-আসলে ঋণ শোধের চাপে নিজের কিডনি বিক্রি করতে বাধ্য হলেন মহারাষ্ট্রের এক কৃষক। অভিযোগ, মহাজনেরা চাপ দিয়ে তাঁকে কম্বোডিয়া পাঠায়। সেখানে অস্ত্রোপচার করে কিডনি বিক্রি করানো হয়। পুলিশে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ পরিবারের। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে চন্দ্রপুর জেলায়।

জানা গিয়েছে, রোশন সদাশিব কুড়ে পেশায় কৃষক। চাষে লাগাতার ক্ষতিতে তিনি ছোট ব্যবসার সিদ্ধান্ত নেন। এলাকার কয়েকজন মহাজনের কাছ থেকে প্রায় এক লক্ষ টাকা ধার করেন। দুধের ব্যবসা শুরু করেন। কয়েকটি গরু কেনেন। অল্প সময়ের মধ্যেই সব গরু মারা যায়। ব্যবসায় বড় ক্ষতি হয়। চাষেও লোকসান চলতেই থাকে। পাওনাদারদের চাপ বাড়ে। চড়া সুদে ঋণের অঙ্ক ফুলে-ফেঁপে ওঠে। পরিবারের দাবি, এক লক্ষ টাকা সুদে-আসলে দাঁড়ায় প্রায় চুয়াত্তর লক্ষে। জমি বিক্রি করেন রোশন। ট্র্যাক্টরও বিক্রি করতে হয়। তবু ঋণ শোধ সম্ভব হয়নি। অভিযোগ, তখনই মহাজনেরা হুমকি দিতে শুরু করে। একজন মহাজন কিডনি বিক্রির কথা বলে। প্রথমে রোশন গুরুত্ব দেননি। পরে তাঁকে জোর করে কলকাতা নিয়ে যাওয়া হয় বলে দাবি। এক এজেন্টের মাধ্যমে শারীরিক পরীক্ষা হয়। সেখান থেকে তাঁকে কম্বোডিয়ায় পাঠানো হয়। সে দেশের একটি হাসপাতালে কিডনি অপসারণ করা হয়। বিনিময়ে তিনি আট লক্ষ টাকা পান। দেশে ফিরতেই পাওনাদার টাকা নিয়ে নেয়।

Advertisement

পরিবারের দাবি, রোশন এখন গুরুতর অসুস্থ। শারীরিক কার্য ক্ষমতা ক্ষীণ হয়ে গিয়েছে। পুলিশের দ্বারস্থ হলেও কোনও পদক্ষেপ হয়নি বলে অভিযোগ। পরিবারের এক সদস্য হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, বিচার না পেলে মুম্বই গিয়ে বিধানসভার সামনে আত্মহত্যার পথ বেছে নেওয়া হবে। তাঁদের দাবি, এর পিছনে বড় অঙ্গ পাচার চক্র জড়িত রয়েছে। পুলিশের যোগসাজশও থাকতে পারে। যদিও পুলিশ এখনও এ বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি।

Advertisement

Advertisement