• facebook
  • twitter
Friday, 4 October, 2024

গত ২৪ ঘন্টায় দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ল ১৭ হাজার

এই প্রথম দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা অস্বাভাকি হারে ছাড়িয়ে গেল ষোলো হাজার। গত চব্বিশ ঘন্টায় করোনা আক্রান্তের মোট সংখ্যা ১৬,৯২২ জন।

প্রতিকি ছবি (File Photo: AFP)

এই প্রথম দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা অস্বাভাকি হারে ছাড়িয়ে গেল ষোলো হাজার। গত চব্বিশ ঘন্টায় করোনা আক্রান্তের মোট সংখ্যা ১৬,৯২২ জন। মৃত্যু হয়েছে আরো ৪১৮ জনের। এরফলে দেশে করোনা আক্রান্তের মোট সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৪.৩ লাখ এবং মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১৪,৮৯৪ জন। এই প্রথম দেশে একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ষোলো হাজার ছাড়িয়েছে। এর আগে বুধবার সর্বাধিক আক্রান্তে রেকর্ড হয়েছিল, সেদিন সংখ্যাটা ছিল ১৫,৯৬৮ জন।

বৃহস্পতিবার সকালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক প্রকাশিত মেডিক্যাল বুলেটিনে জানানো হয়েছে, দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪,৭৩,১০৫ জন। এর মধ্যে এখনও চিকিৎসাধীন ১,৮৬,৫১৪ জন। সুস্থ হয়ে ফিরেছেন ২,৭১,৬৯৬ জন। এই পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা বৃদ্ধি করার উপর জোর দিচ্ছেন।

দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাঁদের মধ্যে করোনার সামান্যতম উপসর্গ রয়েছে তারা যাতে করোনা পরীক্ষা করাতে পারেন তা নিশ্চিত করতে সব রাজ্যের সরকারি হাসপাতালে র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা আইসিএমআর। তারা রাষ্ট্রয়াত্ব সংস্থার কর্মী-আধিকারিকদেরও র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছে। তাছাড়া দেশের প্রতিটি কনটেনমেন্ট জোনে বাধ্যতামূলকভাবে এই পরীক্ষা করানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের সুবিধা হল পরীক্ষার জন্য কোনো ল্যাবরেটারির প্রয়ওজন নেই। এবং ফলও জানা যায় দ্রুত। কিন্তু অন্যদিকে অসুবিধাও রয়েছে এই টেস্টে করোনা পজিটিভ এলে সেই রিপোর্ট নির্ভরযোগ্য হলেও, কারোর রিপোর্ট যদি নেগেটিভ হয় তা হলে পুরোপুরি নিশ্চিন্ত হওয়ার সুযোগ থাকে না। সেক্ষেত্রে ফের পরীক্ষার প্রয়োজন পড়ে।

তবে মঙ্গলবার একদিনে দু’লক্ষেরও বেশি নমুনা পরীক্ষা করে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ভারত। আইসিএমআর প্রধান অধ্যাপক বলরাম ভার্গবের বক্তব্য অনুযায়ী, আমাদের লক্ষ্য প্রতিটি জেলায় করোনা পরীক্ষার ল্যাব তৈরি করা। বর্তমানে দেশে ল্যাবরেটারির সংখ্যা এক হাজার। একটা ল্যাবরেটারি নিয়ে কাজ শুরু করে এতগুলো পরীক্ষাগার শুরু করা নিঃসন্দেহে বড় সাফল্য। করোনা প্রতিরোধে টেস্টিং, ট্রার্কিং এবং ট্রিটমেন্টের উপর ভরসা রাখছি আমরা।

অপরদিকে কিন্তু চিন্তা বাড়াচ্ছে দিল্লির করোনাভাইরাস পরিস্থিতি। যেখানে পর পর তিনদিন সংক্রমণ সাড়ে তিন হাজারের বেশি। মৃত্যু হয়েছে ২,৩৬৫ জনের। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানিয়েছেন, ৬ জুলাইয়ের মধ্যে দিল্লির প্রতিটা বাড়িতে স্ক্রিনিং করা হবে।

এর মধ্যে অবশ্য দিল্লি ও কেন্দ্রীয় সরকারের তরজা থেমে নেই। কেন্দ্রের বক্তব্য হল দিল্লির বর্তমান পরিস্থিতিতে সব করোনা আক্রান্তকে হাসপাতালে ভর্তি করা প্রয়োজন। কিন্তু দিল্লি সরকার মনে করে করোনাভাইরাস আক্রান্তের মৃদু উপসর্গ থাকলে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করার প্রয়োজন নেই।