উন্নাও ধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত কুলদীপ সেঙ্গার

নাবালিকাকে অপহরণ করে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করার ঘটনায় অভিযুক্ত কুলদীপ সেঙ্গারকে দোষী সাব্যস্ত করল দিল্লি আদালত।

Written by SNS New Delhi | December 17, 2019 3:17 pm

উন্নাও ধর্ষণকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত কুলদীপ সিং সেঙ্গার। (File Photo: IANS)

ন্যায়বিচার পেলেন উন্নাও ধর্ষণের শিকার যুবতীর পরিবার, নাবালিকাকে অপহরণ করে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করার ঘটনায় অভিযুক্ত কুলদীপ সেঙ্গারকে দোষী সাব্যস্ত করল দিল্লি আদালত। ধর্ষণের ঘটনায় নাম জড়িয়ে যাওয়ায় চলতি বছর আগস্টে তাকে ভারতীয় জনতা পার্টি থেকে বহিষ্কার করে দেওয়া হয়।

দিল্লি আদালতের তরফে বলা হয়, উন্নাও কান্ডে অভিযুক্ত বিজেপি বিধায়ক (বহিস্কৃত) কুলদীপ সেঙ্গরকে দোষী সাব্যস্ত করা হল। পাশাপাশি সহ অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস করা হল। ধর্ষণের মামলা চলাকালীন শশী সিং’র বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়েছিল। ধর্ষিতা যুবতী ধর্ষণের অভিযােগ করেছিল, তার বাস্তবতা রয়েছে, সত্যতা রয়েছে। প্রভাবশালী কোনও ব্যক্তির ভাবমূর্তিকে কলঙ্কিত করেননি।

জেলা বিচারপতি ধর্মের্শ শর্মা বলেন, উন্নাও ধর্ষণের শুনানি করতে গিয়ে যুবতীর বয়ানকে গুরুত্ব সহকারে পর্যবেক্ষণ করা হয়, তা করতে গিয়ে ধর্ষিত যুবতীর সমস্ত অভিযােগের সত্যতা ও নিষ্কলঙ্কতা ফুটে ওঠে, যা থেকে স্পষ্ট হয় যুবতী কোনও ধরনের মিথ্যা কথা বলেনি। পাশাপাশি, ধর্ষিতা যুবতী একজন গ্রাম্য পরিবেশে বেড়ে ওঠা মেয়ে, শহরের উচ্চশিক্ষিত কোনও মেয়ে নয়। তার বক্তব্যে সারল্যতা ছিল। একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে নাবালিকাকে ধর্ষন করার অভিযােগে ভারতীয় দন্ডবিধি ও পকসাে আইনের ধারায় সেঙ্গারকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে’। বুধবার শাস্তি ঘােষণা করা হবে।

পকসাে আইনের যে ধারাগুলির ধারায় চার্জ গঠন করা হয়েছিল সেমতাে সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদন্ড। তিনি বলেন, ‘ঘটনার সময় ওই যুবতী নাবালিকা ছিল, তা সিবিআই প্রমাণ করে দিয়েছে। যুবতীর বয়ান থেকে স্পষ্ট তাকে ধর্ষণ করা হয়েছিল। শুধু তাই নয়, তাকে হুমকি দেওয়ার পাশাপাশি ধর্ষিতা ন্যায় বিচার চেয়ে মুখ্যমন্ত্রী যােগীকে চিঠি লেখার পর তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে একাধিক ফৌজদারি মামলা করা হয়েছিল’।

উন্নাও কান্ডে সিবিআইয়ের চার্জশিট ফাইল করতে দেরি করায় তিনি। বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, উন্নাও কান্ডের তদন্তে নেমে সিবিআই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চার্জশিট ফাইল করতে দেরি করে মামলাকে দীর্ঘায়িত করা হয়েছিল। পরে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ১২০ বি (ফৌজদারি ষড়যন্ত্র), ৩৬৩ (অপহরণ), ৩৬৬ (অপহরণ বা বিয়ের নামে মহিলাকে বাধ্য করা), ৩৭৬ (ধর্ষণ) সহ পকসাে আইনের একাধিক ধারায় চার্জ গঠন করা হয়েছিল।