• facebook
  • twitter
Saturday, 14 December, 2024

ইডির মামলায় স্বস্তি মিললেও সিবিআই মামলায় জেল হেফাজতেই কেজরিওয়াল 

দিল্লি, ১২ জুলাই – দিল্লি আবগারি দুর্নীতি মামলায় অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে অন্তর্বর্তী জামিনে মুক্তি দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।  বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের ডিভিশন বেঞ্চ শুক্রবার এই নির্দেশ দিয়েছে। আবগারি দুর্নীতিতে টাকা তছরুপের অভিযোগে ইডির গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। তবে কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করার এক্তিয়ার ইডির আছে কিনা , তা বিচারের

দিল্লি, ১২ জুলাই – দিল্লি আবগারি দুর্নীতি মামলায় অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে অন্তর্বর্তী জামিনে মুক্তি দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।  বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের ডিভিশন বেঞ্চ শুক্রবার এই নির্দেশ দিয়েছে। আবগারি দুর্নীতিতে টাকা তছরুপের অভিযোগে ইডির গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। তবে কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করার এক্তিয়ার ইডির আছে কিনা , তা বিচারের জন্য ডিভিশন বেঞ্চ বিষয়টি বৃহত্তর বেঞ্চে পাঠিয়েছে। একজন কর্তব্যরত মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতার করা যায় কিনা, তাঁর সাংবিধানিক রক্ষাকবচ প্রাপ্য কিনা, এই বিষয়গুলি বৃহত্তর বেঞ্চ বিবেচনা করবে।

 এদিকে শুক্রবারই সিবিআই মামলায় কেজরির জেল হেফাজতের মেয়াদ বৃদ্ধি করল দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। সুতরাং আগামী ২৫ জুলাই পর্যন্ত তিহাড় জেলেই থাকতে হবে তাঁকে।

উল্লেখ্য, ইডির গ্রেফতারি বেআইনি, এই দাবিতে দিল্লি হাই কোর্টে মামলা করেছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। কিন্তু হাই কোর্ট জানিয়ে দিয়েছিল, ইডির গ্রেফতারি বেআইনি নয়। উচ্চ আদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কেজরিওয়াল। গত ১৭ মে এই মামলার শুনানি শেষ হয়।  শুনানি শেষে রায় ঘোষণা স্থগিত রেখেছিল বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের ডিভিশন বেঞ্চ। শুক্রে সুপ্রিম কোর্টে নির্দেশের পরে কেজরীর আইনজীবী বিবেক জৈন বলেন, ‘‘আমরা শীর্ষ আদালতকে বলেছিলাম, প্রয়োজনীয় নথি ও তথ্য  ছাড়াই গ্রেফতারি হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট সেই যুক্তির ভিত্তিতেই অন্তর্বর্তী জামিন দিয়েছে। ১৭ জুলাই দিল্লি হাই কোর্টকেও আমরা একই কথা বলব।’’
 
তবে এখনই মুক্তি পাচ্ছেন না দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। কারণ, আবগারি মামলায় সিবিআই তাঁকে গ্রেফতার করেছে।  সিবিআই তদন্তে তিনি এখনও জামিন পাননি। সিবিআই তদন্তে তিনি জেল হেফাজতে রয়েছেন। ১৭ই জুলাই তাঁর জামিনের শুনানি ছিল দিল্লি হাইকোর্টে।  তার আগেই  শুক্রবারই সিবিআই মামলায় কেজরির জেল হেফাজতের মেয়াদ বৃদ্ধি করল দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত।
 
দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় গত ২১ মার্চ আবগারি দুর্নীতি মামলায় কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। তিনি মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেননি। ফলে দেশের ইতিহাসে তিনিই প্রথম মুখ্যমন্ত্রী, যাঁকে পদে থাকাকালীন গ্রেফতার করা হয়। এর পর লোকসভা ভোটের সময়ে তাঁকে কিছু দিনের জন্য অন্তর্বর্তী জামিন দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট।  ২ জুন তাঁর মেয়াদ শেষ হলে আবার তিহাড় জেলে ফিরে যান কেজরিওয়াল। 
 

গত ২০ জুন দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত কেজরীর স্থায়ী জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছিল। ইডির তরফে বৃহস্পতিবার কেজরীর জামিন ৪৮ ঘণ্টা পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন করা হলেও বিচারক ন্যায় বিন্দু এক লক্ষ টাকার বন্ডে জামিন দিয়েছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাই কোর্টে আবেদন করেছিল ওই মামলার তদন্তকারী সংস্থা ইডি। আবগারি দুর্নীতিতে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ১০০ কোটি টাকার ঘুষ চেয়েছিলেন বলেও হাই কোর্টকে জানায় ইডি।

পাশাপাশি, দিল্লি হাই কোর্টে ইডির তরফে অভিযোগ করা হয়, পিএমএলএ-র ৪৫ নম্বর ধারা অনুযায়ী জামিনের বিরোধিতা করে জমা দেওয়া নথিগুলি যথাযথ ভাবে বিবেচনা করার কথা ছিল রাউস অ্যাভিনিউ আদালতের। কিন্তু বিচারক বিন্দু তা করেননি। গত ২৫ জুন ইডির আবেদন মেনে বিচারপতি সুধীরকুমার জৈন এবং বিচারপতি রবীন্দ্র দুদেজার অবকাশকালীন বেঞ্চ কেজরীর জামিন খারিজ করে দেয়।

এর পরে গত ২৫ জুন তিহাড়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পরে জেলবন্দি কেজরিকে রাউস অ্যাভিনিউ আদালতের অনুমোদনে হেফাজতে নেয় আবগারি মামলার আর এক তদন্তকারী কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই। ঘটনাচক্রে, সেই মেয়াদ শেষ হয়েছে শুক্রবার। সিবিআই হেফাজতকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কেজরী রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে আবেদন জানালেও তা খারিজ হয়ে গিয়েছিল। তার পর দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি।