উত্তর প্রদেশের গোরক্ষপুরে জেইই পরীক্ষার্থীর রহস্যমৃত্যু। জেইই মেন ২০২৫ পরীক্ষায় ফেল করার কারণে আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি, এমনটাই অনুমান পুলিশের। ওই ছাত্রীর দেহের পাশ থেকে একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার হয়েছে। নোটে লেখা ছিল, পরীক্ষায় পাশ করতে না পারার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী। মঙ্গলবারই জেইই মেন পরীক্ষার রেজাল্ট বেরোয়। ইঞ্জিনিয়ারিং শাখায় ভর্তি এই পরীক্ষার মাধ্যমেই হয়ে থাকে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত পড়ুয়ার নাম অদিতি মিশ্র।
উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরের ক্যান্টনমেন্ট থানার বেতিহাটায় অবস্থিত মোমেন্টাম কোচিং সেন্টারের ছাত্রী ছিলেন অদিতি মিশ্র। তিনি দু’বছর ধরে জেইইর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। সত্যদীপ গার্লস হোস্টেলে অন্য একটি মেয়ের সঙ্গে একই ঘরে থাকতেন অদিতি।
জেইই পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ হওয়ার পর অদিতি বুধবার সকালে তাঁর বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলেন। বাবাকে তাঁর মোবাইল রিচার্জ করতে বলেন তিনি। অদিতির বাবা আগামী পরীক্ষার জন্য মেয়েকে প্রস্তুতি নিতে উৎসাহিত করেন। তবে রেজাল্ট বেরোনোর পর এতটাই হতাশ হয়ে পড়েছিলেন অদিতি যে অন্য কাউকে ফলাফলের কথা না জানাতে অনুরোধ করেন বাবাকে।
ব্যর্থতার কারণেই ওই তরুণী মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েন। তাঁর রুমমেট কোনও কারণে বাইরে গিয়েছিলেন। ফিরে এসে তিনি দেখেন, ঘরের দরজা বন্ধ। এরপর ঘরের ভিতর উঁকি দিতেই তিনি অদিতির ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। ওই রুমমেট ছুটে গিয়ে হস্টেলের ওয়ার্ডেনকে খবর দেন। এরপর হস্টেলের তরফে গোটা ঘটনাটি পুলিশকে জানানো হয়।
তদন্তে নেমে পুলিশ একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করে, যাতে লেখা ছিল, ‘সরি বাবা-মা, আমাকে ক্ষমা করে দাও… আমি পারলাম না… এখানেই আমাদের সম্পর্কের সমাপ্তি… তোমরা কেঁদো না…তোমরা আমাকে অনেক ভালোবাসা দিয়েছ। তোমাদের স্বপ্ন পূরণ করতে পারলাম না…তোমরা প্লিজ বোনের খেয়াল রেখো…ও নিশ্চয়ই তোমাদের স্বপ্ন পূরণ করবে। তোমার আদরের মেয়ে- অদিতি।’ পুলিশ সুপার (শহর) অভিনব ত্যাগী জানিয়েছেন, ময়নাতদন্তের পরই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।