• facebook
  • twitter
Tuesday, 5 August, 2025

মহাকাশ থেকে ভারতকে নিরাপত্তা দিচ্ছে ১০টি কৃত্রিম উপগ্রহ

দেশবাসী নিরাপত্তা ও সুরক্ষার জন্য কাজ করছে ১০টি কৃত্রিম উপগ্রহ। এমনটাই জানিয়েছেন ভারতের মহাকাশ গবেষণাকেন্দ্র ইসরোর চেয়ারম্যান ভি নারায়ণন।

দেশবাসীর নিরাপত্তা ও সুরক্ষার জন্য কাজ করছে ১০টি কৃত্রিম উপগ্রহ। এমনটাই জানিয়েছেন ভারতের মহাকাশ গবেষণাকেন্দ্র ইসরোর চেয়ারম্যান ভি নারায়ণন। রবিবার মণিপুরের ইম্ফলে কেন্দ্রীয় কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেন তিনি। সেখানেই তিনি জানান, মহাকাশ থেকে ১০টি কৃত্রিম উপগ্রহ ভারত এবং ভারতবাসীর নিরাপত্তা ও সুরক্ষার জন্য কাজ করছে। ভারত-পাক সংঘাতের আবহে ইসরো প্রধানের এহেন মন্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহল মহল।

এই কৃত্রিম উপগ্রহগুলি নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে চলেছে। দেশবাসীর নিরাপত্তার ক্ষেত্রে যেন কোনও ফাঁক না থাকে, এই উপগ্রহগুলি সেই বিষয়টির উপর নজর রাখছে। ২০৪০ সালের মধ্যে ভারত নিজের প্রথম মহকাশ স্টেশন পেয়ে যাবে বলে আশাপ্রকাশ করেছেন তিনি। ইসরো চেয়ারম্যান জানান, ভারত মহাকাশ শক্তির দিক থেকে ক্রমশই প্রথম সারিতে উঠে আসছে। এখনও পর্যন্ত ৩৪টি দেশের ৪৩৩টি কৃত্রিম উপগ্রহ ভারত থেকে মহাকাশে পাঠানো হয়েছে। এই সংখ্যাটা ভবিষ্যতে আরও বৃদ্ধি পাবে। দেশের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য কৃত্রিম উপগ্রহ এবং ড্রোন প্রযুক্তির প্রয়োজন রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

নাম না করে প্রতিবেশী ‘শত্রু’ দেশের প্রসঙ্গও উল্লেখ করেছেন ভি নারায়ণন। ইসরো প্রধান নারায়ণন বলেন, ‘আমাদের প্রতিবেশীদের কথা আপনারা সকলেই জানেন। দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে কৃত্রিম উপগ্রহগুলির মাধ্যমে আমাদের তা পূরণ করতে হবে। আমাদের ৭০০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সমুদ্র উপকূলের উপর নজর রাখতে হবে। সমগ্র উত্তর ভাগের উপর আমাদের লাগাতার নজরদারি চালিয়ে যেতে হবে।’ ভি নারায়ণ বলেন, ‘চন্দ্রযান-১ মিশনের মাধ্যমে প্রথমবার চাঁদের পৃষ্ঠে জলের অণুর অস্তিত্ব আবিষ্কার করে ভারত। এই আবিষ্কারের ফলে ভারতই চাঁদে জল খুঁজে পাওয়া প্রথম দেশ হিসেবে চিহ্নিত হয়।’

ইসরোর চেয়ারম্যানের কথায়, ‘জি২০ দেশগুলির জন্য ইসরো একটি নতুন স্যাটেলাইট তৈরি করছে। এর সাহায্যে জলবায়ু পরিবর্তন, বায়ু দূষণ এবং আবহাওয়ার পর্যবেক্ষণ করা হবে। ভারত এখন একটি উদীয়মান মহাকাশ শক্তি হিসাবে এগিয়ে আসছে। ২০৪০ সালের মধ্যে আমাদের নিজস্ব স্পেস স্টেশন থাকবে। দেশের জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলা করার ক্ষমতা অনেক বেড়েছে। আগে বিপর্যয়ের সময় হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হত। এখন আর সেটা হয় না।’

প্রসঙ্গত, পহেলগাম কাণ্ডের পর ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়েছে। গত মঙ্গলবার পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের চিহ্নিত ৯টি জঙ্গিঘাঁটিতে হামলা চালায় ভারত। এরপর থেকে পাকিস্তান ভারতকে লক্ষ্য করে গোলাগুলি ছুঁড়ছে। যদিও ভারতীয় সেনা পাল্টা জবাব দিয়েছে পাকিস্তানকে। মার্কিন মধ্যস্থতায় গত শনিবার দু’দেশের মধ্যে সংঘর্ষবিরতির বোঝাপড়া হয়েছে। এই আবহে ইসরো প্রধানের মন্তব্য যথেষ্ঠ তাৎপর্যপূর্ণ।