ওড়িশার রাজধানী ভুবনেশ্বরে যৌন ও নারীপাচার চক্রের হদিশ। ধর্ষণের তদন্ত নেমে এই চক্রের হদিশ পায় ওড়িশার পুলিশ। ১৬ বছর বয়সি এক নাবালিকার ধর্ষণের তদন্তে নামে পুলিশ। সেই ঘটনায় লক্ষ্মীনগর থেকে ধর্ষণের অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সেই সঙ্গে নারীপাচার ও বাড়িতে যৌনচক্র চালানোর অভিযোগে বাড়ির মালিক ও দুই মহিলাকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনায় গ্রেপ্তার মোট চার জন। ধর্ষণের পাশাপাশি যৌনচক্র ও নারীপাচার মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। ওই বাড়ি থেকে যৌনপেশায় যুক্ত তিন মহিলাকে উদ্ধার করেছেন তদন্তকারীরা।
নির্যাতিতা ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা। কিশোরী নারীপাচার চক্রের পাল্লায় পড়ে ওড়িশায় চলে আসে বলে প্রাথমিক অনুমান করা হচ্ছে। নির্যাতিতাকে যৌন পেশায় নামতেও বাধ্য করা হয় বলে সূত্রের খবর। মেয়েটির উপর আগেও যৌন নির্যাতন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। গোপনাঙ্গে মারাত্মক আঘাত রয়েছে। এখনও আতঙ্কে রয়েছে নির্যাতিতা।
Advertisement
একটি অটো রিকশা করে নির্যাতিতা মেয়েটিকে হাসপাতালে সামনে ফেলে যাওয়া হয়। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে সেই গাড়ির হদিশ পায় পুলিশ। রিকশার চালক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, একটি অ্যাপের মাধ্যমে লক্ষ্মীনগরের এক মহিলা গাড়ি বুক করেছিল। কিশোরীকে তুলে দেওয়া হয় সেই গাড়িতে। এরপর পুলিশ লক্ষ্মীনগর এলাকার একটি বাড়িতে যৌনচক্র চলার খবর পায়। যৌথ অভিযান চালায় লক্ষ্মীনগর থানার পুলিশ ও ক্যাপিটাল থানা।
Advertisement
মঞ্জু শেঠি, মমতা সাহু, সঞ্জীবকুমার দাস ও অবিনাশ মুদুলি নামে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, মঞ্জু, মমতা, সঞ্জীবকুমার এই পাচারচক্রের মাথা। কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে অবিনাশ মুদুলি।
পুলিশ কমিশনার এসদেব দত্ত সিং জানিয়েছেন, ‘যে অটো রিকশা করে নাবালিকা মেয়েটিকে ক্যাপিটাল হাসপাতালে পাঠিয়েছিল, সে আরও দু’জনকে সঙ্গে নিয়ে বাড়িতে যৌন র্যাকেট চালাচ্ছিল। বাড়ির মালিক সঞ্জীবকুমার দাস ও দুই দালাল মঞ্জু শেঠি ও মমতা সাহুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে, নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে নয়াগড়ের ২৮ বছর বয়সি অবিনাশ মুদুলিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারির পর বিএনএসের ধারা ৬৫(১) ও পকসো আইনের ধারা ৬-এর অধীনে দু’টি পৃথক মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। বাড়ির মালিক ও দুই দালালের বিরুদ্ধে যৌনচক্র ও নারী পাচারের মামলা দায়ের করা হয়েছে। অবিনাশের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেছে ওড়িশার পুলিশ।
Advertisement



