পহেলগামে হামলার পরের দিনই জম্মু-কাশ্মীরের উরি সেক্টরে জঙ্গিদের সঙ্গে সেনার সংঘর্ষে নিকেশ দুই জঙ্গি। জানা গিয়েছে, এই জঙ্গিরা জম্মু-কাশ্মীরের বারামুলা জেলার উরি সেক্টর থেকে নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছিল। সেই সময় সেনার তরফে বাধা দেওয়া হলে উভয় পক্ষের মধ্যে গুলির লড়াই শুরু হয়। সংঘর্ষে ২ জঙ্গিকে নিকেশ করে ভারতীয় সেনা। বুধবার সেনার তরফে বিবৃতি দিয়ে এ কথা জানানো হয়েছে। এক সেনা আধিকারিক জানিয়েছেন, উরি সেক্টরে অনুপ্রবেশ বিরোধী অভিযান চলছে। অভিযান এখনও অব্যাহত রয়েছে। সেনার তরফে জানানো হয়েছে, দুই জঙ্গির কাছ থেকে প্রচুর পরিমাণে আগ্নেয়াস্ত্র এবং কার্তুজ পাওয়া গিয়েছে।
এদিকে গোয়েন্দা রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে নিরাপত্তাবাহিনীর রেকর্ড বলছে, জম্মু ও কাশ্মীরে এখনও ঘাঁটি গেড়ে রয়েছে ৫৬ জন বিদেশি জঙ্গি। এদের মধ্যে বেশিরভাগই লস্কর-ই-তৈবার সদস্য বলে মনে করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগামে জঙ্গি হামলায় ২৬ পর্যটকের মৃত্যু হয়। পুলওয়ামা হামলার পর এটাই সবথেকে বড় সন্ত্রাসবাদী হামলা বলে দাবি করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় গোটা দেশ শোকাচ্ছন্ন। তারই মধ্যে হামলার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে ৩ জন জঙ্গি। তাদের মধ্যে ২ জনকে নিকেশ করেছে সেনা। সেনার তরফে চিনার কর্পস বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ‘এলওসি সীমান্তে লাগাতার গুলির লড়াই চলছে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ২ জনকে নিকেশ করা গেছে। জঙ্গিদের কাছ থেকে প্রচুর বন্দুক, বোমা এবং কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে।’ মনে করা হচ্ছে, ৩ জনের বেশিই অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছিল।
ইতিমধ্যেই পহেলগামের হত্যালীলায় উঠে এসেছে পাকিস্তান যোগের তত্ত্ব। তবে বিপদমুক্ত নয় উপত্যকা। নিরাপত্তা বাহিনীর রিপোর্ট অনুযায়ী, এই মুহূর্তে জম্মু ও কাশ্মীরের বিভিন্ন এলাকায় গোপন আস্তানায় আত্মগোপন করে রয়েছে রয়েছে ৫৬ জন বিদেশি জঙ্গি, যাদের মধ্যে ৩৫ জনই লস্কর-ই-তৈবার। এছাড়াও এদের মধ্যে রয়েছে জৈশ-ই-মহম্মদের ১৮ জন, হিজবুল মুজাহিদিনের ৩ জন। এরা সকলেই পাকিস্তান থেকে অনুপ্রবেশ করে উপত্যকায় ঘাঁটি গেড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এদের পাশাপাশি জম্মু ও কাশ্মীরের স্থানীয় জঙ্গি রয়েছে ১৭ জন।
গোয়েন্দা রিপোর্টের তথ্য অনুযায়ী উপত্যকার স্থানীয় সন্ত্রাসবাদীদের তুলনায় বিদেশি জঙ্গির সংখ্যা তুলনায় অনেক বেশি। এই তথ্য যথেষ্ট উদ্বেগের বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।