• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

পাকিস্তানের জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করেছিল ভারত, সাফ জানালেন রাজনাথ

তিনি বলেন, ‘আমি তিন বাহিনীর প্রধানদের জিজ্ঞাসা করি, আপনারা কি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অপারেশন চালাতে প্রস্তুত? তাঁরা উত্তর দেন, ‘আমরা সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত।’

সিডনিতে ভারতীয় দূতাবাসে প্রবাসীদের সামনে ভাষণ দিচ্ছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।

সিডনির দূতাবাসে প্রবীণ এবং প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গে আলাপচারিতার সময় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, ‘অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে বিশ্ব দেখেছে ভারতের সাহস।’ তিনি আলোচনায় তুলে ধরেন, ২২ এপ্রিল পহেলগামে জঙ্গিদের নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর ভারতের পক্ষ থেকে কত দ্রুত ও কীভাবে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল।

রাজনাথ জানান, ‘২২ এপ্রিল আমাদের নিরীহ পর্যটকরা, যাঁরা পরিবার নিয়ে পহেলগামে বেড়াতে গিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে কিছু কিছু সদ্য বিবাহিতও দম্পতিও ছিলেন। সেই সময় পাকিস্তান থেকে আগত সন্ত্রাসীরা তাঁদের ধর্ম জেনে নিয়ে ধরে ধরে হত্যা করে। এই ঘটনাটি ২২ তারিখে ঘটে; ২৩ তারিখে আমি অবিলম্বে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দপ্তরে সমস্ত সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর প্রধানদের, চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ, প্রতিরক্ষা সচিব ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাকে নিয়ে বৈঠক ডাকি।’

Advertisement

তিনি বলেন, ‘আমি তিন বাহিনীর প্রধানদের জিজ্ঞাসা করি, আপনারা কি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অপারেশন চালাতে প্রস্তুত? তাঁরা উত্তর দেন, ‘আমরা সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত।’ পরের দিন আমরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গিয়ে আলোচনা করি। প্রধানমন্ত্রী মোদী আমাদের স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দেন।’

Advertisement

প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরও জানান, ‘সন্ত্রাসীদের প্রধান কেন্দ্র, প্রশিক্ষণ শিবির ও মূল ঘাঁটিগুলি চিহ্নিত করা হয়। সেগুলো চিহ্নিত করার পর আমাদের সেনা ওই সব সন্ত্রাসী শিবির ধ্বংস করে দেয়। এটি ছিল একেবারে সুনির্দিষ্ট আক্রমণ।’ তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘আমরা হিংসা বিশ্বাস করি না। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, সাধারণ নাগরিকদের বাসস্থানে আঘাত না করে শুধুমাত্র তাদের সন্ত্রাসী প্রতিষ্ঠানগুলি ধ্বংস করা হবে।’

প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর সেই বক্তব্য দূতাবাসে উপস্থিত ভারতীয়রাও গুরুত্ব দিয়ে শোনেন। অনেকেই ওই সময়ে ঘটে যাওয়া হত্যাকাণ্ড ও তার পরবর্তী প্রতিক্রিয়া স্মরণ করেন। দূতাবাস সূত্রে জানা গিয়েছে, মন্ত্রীর ভাষণে দেশীয় নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষামূলক সক্ষমতা নিয়ে আত্মবিশ্বাস প্রকাশ পেয়েছে।

বিশ্লেষকরা মনে করেন, এমন বক্তব্য কৌশলগত শক্তি ও প্রতিরক্ষা সিদ্ধান্ত গ্রহণে সরকারের দৃঢ়তা তুলে ধরে। পাশাপাশি এটি আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারত সরকারের নীতি ও সন্ত্রাস বিরোধী অবস্থানকে স্পষ্ট করে দিয়েছে।

Advertisement