দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়াল ১২ হাজার, সুস্থও হয়েছেন ১৪৮৮ জন

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি থেকে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। দেশজুড়ে র‍্যাপিড টেস্টের সংখ্যা বাড়ায়, দ্রুত সংক্রামিতদের খোঁজ মিলছে।

Written by SNS New Delhi | April 17, 2020 6:50 pm

র‍্যান্ডম টেস্টিং করছে এক স্বাস্থ্যকর্মী। (File Photo: AFP)

প্রথম দফায় লকডাউনেও করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। দ্বিতীয় দফায় লকডাউনের শুরুতেই আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছে গেছে ১২ হাজারে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বুলেটিনে দেখা গেছে, দেশজুড়ে ভাইরাস সংক্রামিতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২,৩৮৩। গত ২৪ ঘন্টায় মৃত্যু হয়েছে ৩৭ জনের। এখনও অবধি দেশে ভাইরাস সংক্রমণে মৃতের সংখ্যা ৪১৪।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি থেকে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। দেশজুড়ে র‍্যাপিড টেস্টের সংখ্যা বাড়ায়, দ্রুত সংক্রামিতদের খোঁজ মিলছে। চিকিৎসাও শুরু হচ্ছে সেই মতোই। এখনও অবধি আইসোলেশনে আছে ১০,৪৭৭ জন। সংক্রমণ সারিয়ে সুস্থও হয়ে উঠেছেন ১৪৮৮ জন।

করোনা সংক্রমণের নিরিখে এখনও শীর্ষেই আছে মহারাষ্ট্র। আক্রান্তের সংখ্যা দু’হাজার ছাড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ১৮৭ জনের। উদ্বগজনক পরিস্থিতি রাজস্থান (১৯২৩), মধ্যপ্রদেশ (৯৮৭), তামিলনাড়ুতে (১২৪২)। বাদ নেই উত্তরপ্রদেশ (৭৩৫), তেলঙ্গানাও (৬৪৭)।

দ্বিতীয় দফায় লকডাউন জারির পরেই দেশের ১৭০’টি জেলাকে সংক্রমণের হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করেছে কেন্দ্র। সংক্রমণের খবর এসেছে তবে হটস্পট নয়, এমন জেলার সংখ্যা ২০৭’টি। বাংলার ৮’টি জেলা রয়েছে এই তালিকায়।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের যুগ্ম সচিব লব আগরওয়াল বলেছেন, গোষ্ঠী সংক্রমণ এখনও শুরু হয়নি দেশে। হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত এলাকাগুলিতে স্থানীয় স্তরে কিছু সংক্রমণ ছড়িয়েছে, তবে সেই এলাকাগুলোকে ক্লাস্টার জোন বা নির্দিষ্ট গণ্ডিতে বেঁধে ফেলে সেখানে স্ক্রিনিং ও বাড়ি বাড়ি সার্ভে শুরু হবে। করোনা মোকাবিলায় দেশের ভূমিকা প্রশংসনীয় বলে গতকালই উল্লেখ করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন।

লব আগরওয়াল বলেছেন, হটস্পট জেলাগুলিতে অত্যাবশ্যকীয় পরিব্বো ঘড়া বাকি সব বন্ধ থাকবে। ওই জেলায় প্রবেশ ও সেখান থেকে বেরনোও পুরোপুরিভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখা হবে। তার পর বাড়ি বাড়ি ঘুরে মানুষকে জিজ্ঞাসাবাদ করে উপসর্গ দেখা মাত্রই নমুনা সংগ্রহ করা হবে। শুধু তাই নয়, কনটেইনমেন্ট জোনের বাইরেও ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো উপসর্গ বা তীব্র শ্বাসকষ্টের উপসর্গ কারও মধ্যে ধরা পড়লে তাদেরও বাধ্যতামূলক নমুনা পরীক্ষা করা হবে।