• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

৫ বছর পর চালু হচ্ছে ভারত–চিন সরাসরি ফ্লাইট

দীর্ঘ পাঁচ বছর পর ফের চালু হতে চলেছে ভারত ও চিনের মধ্যে সরাসরি বিমান পরিষেবা। বৃহস্পতিবার এই ঘোষণা করেছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক।

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

দীর্ঘ পাঁচ বছর পর ফের চালু হতে চলেছে ভারত ও চিনের মধ্যে সরাসরি বিমান পরিষেবা। বৃহস্পতিবার এই ঘোষণা করেছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক। চলতি মাসের ২৬ তারিখ থেকে শুরু হবে এই পরিষেবা। ২০২০ সালের গালওয়ান সংঘর্ষের পরে ভারত ও চিনের মধ্যে সরাসরি বিমান পরিষেবা বন্ধ ছিল। সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও)-র সাম্প্রতিক সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর মধ্যে আলোচনা হয়। কূটনৈতিক শিবির মনে করছে, সেই আলোচনার ফলস্বরূপই বরফ গলতে শুরু করেছে দুই দেশের সম্পর্কে। সেই কারণেই এই বিমান পরিষেবা চালু হতে চলেছে।

ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ২০২৫ সালের শুরু থেকেই ভারত ও চিনের অসামরিক বিমান পরিবহন দপ্তরের প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনা চলছিল। সেই আলোচনার ভিত্তিতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিমান সংস্থা ইন্ডিগো ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছে, ২৬ অক্টোবর থেকে কলকাতা-গুয়াংঝৌ রুটে রোজ বিমান চালাবে। সংস্থাটি জানিয়েছে, এই রুটে এ৩২০ বিমান ব্যবহার করবে ইন্ডিগো। শীঘ্রই দিল্লি-গুয়াংঝৌ রুটেও সরাসরি পরিষেবা শুরু হবে বলে জানানো হয়েছে। ইন্ডিগো-র পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, এই উদ্যোগ দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক যোগাযোগ বৃদ্ধির পাশাপাশি পর্যটন এবং জনসংযোগের ক্ষেত্রেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

Advertisement

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের গ্রীষ্মে লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় ভারত এবং চিনা সেনার মধ্যে সংঘর্ষে প্রাণ হারান বেশ কয়েকজন ভারতীয় জওয়ান। সেই ঘটনার পর থেকেই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে চরম অবনতি ঘটে। বন্ধ হয়ে যায় একাধিক সামরিক ও বাণিজ্যিক সংযোগ, যার মধ্যে অন্যতম ছিল বিমান চলাচল। তবে গত কয়েক বছরে একাধিক সামরিক ও কূটনৈতিক স্তরে বৈঠকের মাধ্যমে ধাপে ধাপে উত্তেজনা প্রশমিত হয়েছে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি) থেকে সেনা সরানোর প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।

Advertisement

এমন পরিস্থিতিতে সরাসরি বিমান চলাচল ফের চালু হওয়ার সিদ্ধান্ত দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলেই মনে করছেন কূটনৈতিক মহলের অনেকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতির পর ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও মজবুত আগ্রহী হয়েছে চিন। ফলে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক সহজ হয়েছে। ভারত গত মাসে চিনা নাগরিকদের ভিসা দেওয়া ফের শুরু করেছে। অন্যদিকে, চিন কৈলাস মানস সরোবর যাত্রায় অংশ নেওয়া ভারতীয় তীর্থযাত্রীদের জন্য প্রবেশাধিকার পুনরায় চালু করেছে।

Advertisement