অসমের মানসে এক বছরে বাঘের সংখ্যা বাড়ল ১৬ টি

চলতি সপ্তাহে মানস ব্যাঘ্র প্রকল্পের ক্ষেত্র অধিকর্তা অমলচন্দ্র শর্মা জানিয়েছেন, এ বছর সেখানে অন্তত ৪৬ টি বাঘের উপস্থিতি চিহ্নিত করা গিয়েছে।

Written by SNS Assam | June 28, 2021 4:47 pm

প্রতিকি ছবি (Photo: iStock)

অসমের মানস জাতীয় উদ্যানে গত বছরের গােড়ায় সেখানে বাঘের সংখ্যা ছিল ৩০। এক বছরের ব্যবধানে বেড়েছে ১৬টি। চলতি সপ্তাহে মানস ব্যাঘ্র প্রকল্পের ক্ষেত্র অধিকর্তা অমলচন্দ্র শর্মা জানিয়েছেন, এ বছর সেখানে অন্তত ৪৬ টি বাঘের উপস্থিতি চিহ্নিত করা গিয়েছে।

তিনি বলেন, ‘ট্র্যাপ ক্যামেরায় তােলা ছবি দেখে প্রতিটি বাঘকে পৃথক ভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে অন্তত ১৯ টি পূর্ণবয়স্ক বাঘিনী, ১৬ টি পূর্ণবয়স্ক পুরুষ বাঘ , ৩ টি তরুণ এবং ৭ টি শিশু রয়েছে।

তিনি জানান, সম্প্রতি মানস ব্যাঘ্র প্রকল্প ও জাতীয় উদ্যানের সঙ্গে যে ৩৫০ বর্গ কিলােমিটার এলাকা সংযােজিত হয়েছে, সেখানেও ৪ টি বাঘের সন্ধান মিলেছে। ২০১০ সালের সুমারিতে মানসে বাঘের সংখ্যা ছিল মাত্র ১০। “জাতীয় ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষ (এনটিসি) ২০১৪ সালে মানস জুড়ে ট্র্যাপ ক্যামেরা বসিয়ে অন্তত ১৬ টি বাঘের অস্তিত্ব সম্পর্কে নিশ্চিত হয়।

সংস্থার তরফে ২০১৮ সালের শেষ পর্বে প্রকাশিত ‘টাইগার স্টেটাস রিপাের্ট জানায়, বাঘের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে অন্তত ২৮ মানসে বন্যপ্রাণ সংরক্ষণের কাজে যুক্ত ডব্লিউটিআই-এর গবেষক সনাতন ডেকা বলেন, “শুধু বাঘ নয় , অন্যান্য বন্যপ্রাণ সংরক্ষণের ক্ষেত্রেও মানস দেশের মধ্যে নতুন দৃষ্টান্ত তৈরি করেছে।

২০০৫ সালে মানস গণ্ডার-শূন্য হয়ে গিয়েছিল। অসমের কাজিরাঙা এবং পৰিতােরা থেকে কয়েকটি গণ্ডার এনে শুরু হয় পুনর্বাসনের কাজ। সেই সংখ্যা বেড়ে এখন ৫০ ছুঁতে চলছে। এক বছরে অনেক বেড়েছে জলাভূমির হরিণের সংখ্যাও।’

অমলচন্দ্র জানিয়েছেন, ২০১৯-২০-র সমারিতে মানসে ৭ টি ব্ল্যাক প্যান্থার-সহ মােট ২৭ টি চিতাবাঘের সন্ধান মিলেছিল। তা আরও বেড়েছে বলে প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে অনুমান করা হচ্ছে।