কয়েকদিন পরেই দেশজুড়ে পালিত হবে ‘স্বাধীনতা দিবস’। ইতিমধ্যেই নানা স্কুলে তা পালন করার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া শুরু হয়েছে। ১৫ অগস্ট স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নানা অনুষ্ঠান করে থাকে দেশের স্কুলগুলি। এবার সেখানে একটা অভিনবত্ব আনছে হরিয়ানা রাজ্য। এবার থেকে আর স্কুলে পড়ুয়ারা তাঁদের শিক্ষক–শিক্ষিকাদের সঙ্গে দেখা হলে বলবে না ‘সুপ্রভাত’। বরং পড়ুয়ারা একে অন্যের সঙ্গে দেখা হলে এবং শিক্ষক–শিক্ষিকাদের সঙ্গে দেখা হলে ‘জয় হিন্দ’ বলে সম্মান জানাবে।
এই ঘটনা ঘটলে সকলের মধ্যে একটা দেশাত্মবোধ গড়ে উঠবে। শিক্ষার পাশাপাশি নিজের দেশকে পড়ুয়ারা ভালবাসুক সেটাই চান স্কুল শিক্ষা দফতরের অধিকর্তারা। তাই আগামী ১৫ অগস্ট থেকে ‘জয় হিন্দ’ বলার নিয়ম চালু হতে চলেছে। তখন বন্ধ হয়ে যাবে সুপ্রভাত বলা। পড়ুয়ারা শিক্ষক–শিক্ষিকাদের যেমন ‘জয় হিন্দ’ বলবে তেমন শিক্ষক–শিক্ষিকারা পড়ুয়াদের পাল্টা ‘জয় হিন্দ’ বলবে। এই নিয়ে সিদ্ধান্ত হওয়ার পর তা বিজ্ঞপ্তি হিসাবে পৌঁছে গিয়েছে সর্বত্র। তাতে কারও কোনও আপত্তি নেই। সুতরাং ১৫ অগস্ট থেকে হরিয়ানার স্কুলগুলিতে শোনা যাবে ‘জয় হিন্দ’।
Advertisement
এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই ডিরেক্টরেট অফ স্কুল এডুকেশন লিখিত নির্দেশ জারি করেছে বলে খবর। সেই নির্দেশিকা পৌঁছে গিয়েছে শিক্ষা দফতরের সমস্ত অফিসার, প্রিন্সিপাল এবং প্রধানশিক্ষকদের কাছে। জেলা ও ব্লকস্তরের অফিসারদের কাছেও তা পৌঁছে গিয়েছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, এই ১৫ অগস্ট থেকে সারা বছর সরকারি স্কুলগুলিতে সুপ্রভাতের পরিবর্তে চালু হবে জয় হিন্দ। পড়ুয়াদের মধ্যে এখন থেকে জাতীয়তাবোধ, দেশাত্মবোধ গড়ে তুলতে চালু করা হচ্ছে জয় হিন্দ। এতে দুটি বিষয় একসঙ্গে ঘটবে। এক, সারা বছর দেশাত্মবোধের পরিবেশ তৈরি হবে। দুই, পড়ুয়াদের মধ্যে গড়ে উঠবে দেশাত্মবোধ।
Advertisement
এছাড়া নয়া বিজ্ঞপ্তিতে হরিয়ানা সরকার জানিয়ে দিয়েছে, ১৫ অগস্ট স্বাধীনতা দিবসের পতাকা উত্তোলনের আগে এই নির্দেশ যেন কার্যকর হয়। দেশের ইতিহাস যেমন সম্মান পাবে তেমন পড়ুয়ারা রোজ অনুপ্রাণিত হবে জয় হিন্দ ধ্বনিতে। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু যখন আজাদ হিন্দ ফৌজ গঠন করেছিলেন তখন এই স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠেছিল গোটা দেশ। ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে নেমে ‘জয় হিন্দ’ স্লোগান দেন দেশনায়ক। জাতির প্রতি ভালবাসা গড়ে তুলতেই তা করা হয়েছিল। আজও দেশে এই স্লোগান জারি আছে।
Advertisement



