ফের রাহুল সভাপতি না হতে চাইলে বিকল্প খোঁজা হোক: থারুর

রাহুল গান্ধিকেই নেতা হিসেবে চাইছেন কংগ্রেস কর্মীরা। কিন্তু শেষমেষ তিনি যদি রাজি না হন তাহলে তাঁর বিকল্প কে হতে পারে তা খোজা এখন থেকে শুরু করে দেওয়া উচিত।

Written by SNS New Delhi | August 13, 2020 1:24 pm

কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর (File Photo: IANS)

রাহুল গান্ধিকেই নেতা হিসেবে চাইছেন কংগ্রেস কর্মীরা। কিন্তু শেষমেষ তিনি যদি রাজি না হন তাহলে তাঁর বিকল্প কে হতে পারে তা খোজা এখন থেকে শুরু করে দেওয়া উচিত। নেতৃত্বের সংকট কাটিয়ে উঠতে হবে। সাংসদ শশী থারুর এমনই বার্তা দিলেন দলকে।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারকে কাঠগড়ায় তুলে লাগাতার আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছেন রাহুল। কিন্তু দলের নেতৃত্বে ফেরার বিষয়ে এখনও নীরব তিনি। তাই আর অপেক্ষা না করে নতুন সভাপতি বাছাইয়ের কাজ এখনই শুরু করে দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করলেন শশী থারুর।

উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচনের পরাজয়ের দায় নিয়ে কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন রাহুল গান্ধি। এরপর সোনিয়া গান্ধি অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি হিসেবে দলের হাল ধরেন। তখন বলা হয়েছিল নতুন সভাপতি ঠিক না হওয়া পর্যন্ত তিনি ওই পদে থাকবেন। কিন্তু এভাবে এক বছর কেটে গিয়েছে। এখনও সভাপতি নির্বাচন করে উঠতে পারেনি কংগ্রেস। এমনই এক পরিস্থিতির মধ্যে দাঁড়িয়ে রাহুল গান্ধির বিকল্প খোঁজার জন্য প্রামর্শ দিলেন শশী থারুর।

এ প্রসঙ্গে তিনি জানান, কংগ্রেসকে নিয়ে মানুষের মধ্যে বিভিন্ন ধারণা তৈরি হচ্ছে। এর মধ্যে বিকল্প ধারণাও রয়েছে। অবিলম্বে আমাদের সভাপতি বাছাইয়ের প্রক্রিয়া শুরু করে দেওয়া উচিত। পূর্ণ মেয়াদের সভাপতি হবেন এমন একজন নেতাকে দ্রুত খুঁজে নিতে হবে। সভাপতি নির্বাচন হলে তবেই সাংগঠনিক স্তরে যে সমস্যাগুলি রয়েছে তার সমাধান করা সম্ভব। কংগ্রেসের নেতাকর্মীরা নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করতে পারে।

তবে কি গান্ধি পরিবারের বাইরে গিয়ে অন্য কাউকে সভাপতির কথা ভাবছে কংগ্রেস। এই প্রসঙ্গে শশী থারুরের সাফ কথা, একথা বলার অবকাশ রাখে না যে। নেহরু এবং গান্ধি পরিবারের বিশেষ জায়গা রয়েছে কংগ্রেসে। এর পেছনে অনেক কারণ রয়েছে। সবাইকে নিয়ে চলার মতো, ভিন্ন মতালম্বী মানুষদের একজায়গায় রাখার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ওঁনাদের মধ্যে রয়েছে।

ক্ষমতায় থাকার সময় শুধু নয়, ক্ষমতায় না থাকার সময়ও কঠিন সময়ে দলকে সঠিক পথে পরিচালিত করার যোগ্য নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে ওঁদের। কংগ্রেসের প্রতি ওঁদের অবদান এবং ওই পরিবারের দুই প্রাক্তন সভাপতির আত্মত্যাগ কখনও ভোলা যায় না।

এখানেই থেমে না থেকে শশী থারুর আরও ইঙ্গিত দিয়েছেন, কংগ্রেস সভাপতি পদে রাহুল গান্ধি যে কোনও সময়ই ফিরতে পারেন। শুধু একটি কাজ তাঁকে করতে হবে, তিনি যে পদত্যাগপত্রটি দিয়েছে সেটি শুধু তুলে নিতে হবে। ২০২২-এর ডিসেম্বর পর্যন্ত রাহুল গান্ধি সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন। তাই তিনি দায়িত্ব নিলে আর বলার কিছু নেই। কিন্তু যদি উনি একান্তভাবে রাজি না হন, সেক্ষেত্রে বিকল্প খুঁজে নেওয়ার জন্য আর সময় নষ্ট না করাই ভালো। কারণ একজন অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি সব সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না।

কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির আসনগুলিতে নির্বাচন হলে এবং সভাপতি পদে নির্বাচন হলে তা দলের পক্ষেই মঙ্গল হবে। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিকে সামনে রেখে নির্বাচন করা সম্ভব হলে দলের বিশ্বাসযোগ্যতা বহুগুণ বেড়ে যাবে। এবং দলকে চাঙ্গা করতেও এধরনের সিদ্ধান্ত অনেক কাজে লাগবে। তবে, এই কথাগুলি একান্ত তার ব্যক্তিগত চিন্তাভান্না এবং আগামীর দিকে তাকিয়ে বর্তমান পরিস্থিতির ওপর বিবেচনা করে বলে সাংসদ শশী থারুর জানিয়েছেন। তবে, শেষ পর্যন্ত কি হবে বা কি হওয়া উচিত তা শীর্ষ নেতৃত্বই ঠিক করবেন বলে জানিয়েছেন শশী।