আইসক্রিমের জাদুতে মজে বাচ্চারা

Written by SNS June 7, 2024 5:18 pm

ছোট থেকে বড় আইসক্রিম খেতে ভালোবাসেন না এমন খুব কমই আছেন৷ অনেকে অবশ্য নানান সমস্যার কারণে ইচ্ছে থাকলেও আইসক্রিম খাওয়ার লোভ সমবরন করেন৷ তবে শীত হোক বা গ্রীষ্ম সব মরশুমেই আইসক্রিম বেশ জনপ্রিয় ৷ ঠান্ডা লেগে যেতে পারে ভেবে, বাচ্চাদের অনেক সময়ে বেশি আইসক্রিম খেতে দেওয়া হয় না৷ আইসক্রিম খেলে দাঁতে পোকা, গলা ব্যথার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে, এমনটাই ভাবেন বাবা-মায়েরা ৷ তবে পুষ্টিবিদরা কি বলছেন জানেন৷ আসুন তাহলে তাই জানা যাক৷
পুষ্টিবিদ অমিয় দত্ত বলছেন, যে কোন মরশুমে আইসক্রি খেতে পারেন৷  যেকোন বয়সেও বাধা নেই৷ কারণ আইসক্রিম সাধারণত ডেয়ারি প্রোডাক্ট ৷ যদি ঘি বা দুধ খাওয়া হয়, তাহলে আইসক্রিম কেন খাওয়া যাবে না৷ যে আইসক্রিম কিনে খাওয়া হয় তারমধ্যে প্রোটিন ও ফ্যাট থাকে৷ বিশেষ করে আইসক্রিমের স্বাদ বাড়ানোর জন্য তাতে যা ব্যবহার করা হচ্ছে যেমন- গুড়ো দুধ, মোষের দুধ সেগুলিতে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট থাকে৷’
তিনি পরামর্শ দেন, যদি বাচ্চাদের আইসক্রিম দিতেই হয় বাডি়তে বানিয়ে দিলে ভালো৷ আপনি যদি বাচ্চাকে একদিন করে আইসক্রিম দেন, তাতে কোনও অসুবিধা হবে না৷ কারণ এটি খুবই পুষ্টিকর৷ এছাড়াও আইসক্রিম যেহেতু একটা দুগ্ধজাত দ্রব্য তাই এতে থাকে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ভিটামিন ডি, ভিটামিন ই ও বি কমপ্লেক্স ৷ এই প্রত্যেকটা জিনিস বাচ্চার বৃদ্ধির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ৷
পুষ্টিবিদ পরামর্শ দেন, তবে আপনি যখন বাডি়তে বানান এতে ব্যবহার করতে পারেন লো ফ্যাটের মিল্ক৷ এছাড়াও যে বাচ্চাদের ওবেসিটি-র সমস্যায় ভুগছে তাদের চিনি একটু কম দিতে পারেন৷ চিনির বদলে গুডে়র পাউডার, ড্রাইফ্রুট গুড়ো, মধু ব্যবহার করতে পারেন৷ এছাড়াও এরমধ্যে সাধারণ চকলেটের পরিবর্তে ডার্ক চকলেট ব্যবহার করতে পারেন৷ এর ফলে ক্যালোরির ভ্যালু কম হবে এমনটা নয়৷ এরমধ্যে যে নিউরো ভ্যারিয়াস ট্রান্সমিটার থাকে, তা ফিলগুড এফেক্ট তৈরি করতে সাহায্য করবে৷ যেমন- সেরোটোমিন এই জাতীয় খাবার গুড নিউরো ট্রান্সমিটারগুলিকে একটা অ্যাক্টিভেট করে আমাদের মধ্যে একটা ফিল গুড এফেক্ট আনে৷ এছাড়াও আইসক্রিমের মধ্যে যে ট্রিপটোফ্যান থাকে, তা সারাদিন চনমনে থাকতে সাহায্য় করে৷
তবে কিছু জিনিস মাথায় রাখা প্রয়োজন: আইসক্রিমে লো ফ্যাট মিল্ক ব্যবহার করা দরকার ৷ রোদ থেকে এসেই সঙ্গে সঙ্গে আইসক্রিম খাওয়া উচিত নয় ৷