এনকাউন্টারে খতম হিজবুল কম্যান্ডার, জঙ্গিমুক্ত ডোডা জেলা, দাবি কাশ্মীর পুলিশের

জঙ্গি দমনে বড় সাফল্য পেল নিরাপত্তারক্ষীরা। জম্মু কাশ্মীরের অন্ততনাগে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে সংঘর্ষে তিন জঙ্গি খতম হয়েছে।

Written by SNS Srinagar | June 30, 2020 2:36 pm

হিজবুল মুজাহিদিনের কম্যান্ডার মাসুদ আহমেদ ভাট। (Photo: Twitter | @JmuKmrPolice)

জঙ্গি দমনে বড় সাফল্য পেল নিরাপত্তারক্ষীরা। জম্মু কাশ্মীরের অন্ততনাগে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে সংঘর্ষে তিন জঙ্গি খতম হয়েছে। তারমধ্যে একজন জঙ্গি গোষ্ঠী হিজবুল মুজাহিদিনের কম্যান্ডার মাসুদ আহমেদ ভাট। কাশ্মীর পুলিশ দাবি করেছে, এই এনকাউন্টারের সঙ্গেই ডোডা জেলা জঙ্গিমুক্ত হয়েছে। শুক্রবার ভোরে দক্ষিণ কাশ্মীরের অনন্তনাগের খুলচোহার এলাকায় নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে একাউন্টারে খতম হয় মাসুদ ও আরও দুই জঙ্গি।

এর সঙ্গেই কাশ্মীর পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে, জম্মুর ডোডা লোর শেষ জঙ্গি ছিল মাসুদ। তার মৃত্যুর সঙ্গেসঙ্গেই পুরো ডোডা জেলা জঙ্গিমুক্ত হয়েছে। জানা গিয়েছে রবিবার রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অনন্তনাগে হানা দেন নিরাপত্তারক্ষীরা। সেই দলে ছিল সিআরপিএফ ও জম্মু কাশ্মীর পুলিশের আধিকারিকরাও। তল্লাশি অভিযান শুরু করেন তারা। নিরাপত্তারক্ষীদের দেখতে পেয়েই গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। শুরু হয় এনকাউন্টার।

সূত্রের খবর, একটি বাড়িত জঙ্গিরা লুকিয়ে ছিল। বাড়িটিকে ঘিরে ফেলেন জওয়ানরা। বেশ কিছুক্ষণ গুলি বিনিময়ের পর তিন জঙ্গিই খতম হয়। তিন জঙ্গির কাছে একে ৪৭ বন্দুক ও অন্যান্য আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের প্রধান দিলবাগ সিং জানিয়েছে, ভোরে অনন্তনাগের খুলচোহার এলাকায় নিরাপত্তারক্ষীদের সংঘর্ষে লস্কর-এ-তৈবার দুই জুঙ্গ ও হিজবুল মুজাহিদিনের কম্যান্ডার মাসুদ আহমেদ ভাট খতম হয়েছে।

এর সঙ্গেই জম্মুর ডোডা জেলা জঙ্গিমুক্ত হল। কারণ মাসুদ ওই জেলার শেষ জঙ্গি ছিল। প্রথমে একটি ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্ত হয়েছিল মাসুদ। তারপর ডোডা পালিয়ে হিজবুলে নাম লেখায় সে। তখন থেকেই পালিয়ে বেড়াচ্ছিল মাসুদ। ডোডা ছেড়ে কাশ্মীরে নাশকতার কাজ করত সে, এখনও দক্ষিণ কাশ্মীরে অন্তত ২৯ জন বিদেশি জঙ্গি সক্রিয় রয়েছে বলে খবর।

কাশ্মীরের আইজি বিজয় কুমার জানিয়েছেন, কোকেরনাগ, ত্ৰাল ও খ্রিউতে জঙ্গিদের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। দক্ষিণ কাশ্মীরে এই মুহূর্তে ২৯ জন জঙ্গি রয়েছে। তারা সবাই পাহাড়ের উপরের দিকে রয়েছে। নিচে পাহাড়া দিচ্ছে নিরাপত্তারক্ষীরা। নিচে নামার চেষ্টা করলেই তাদের খতম করা হবে।