বুধবার উপত্যকায় হিজবুলের শীর্ষ কমান্ডার নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে নিহত

২০১৬ সালে জঙ্গি গোষ্ঠীর অন্য নেতা বুরহানওয়ানি নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে নিহত হওয়ার পর উপত্যকায় হিজবুল জঙ্গি গোষ্ঠীর দায়িত্ব নেয় রিয়াজ নাইকু।

Written by SNS Srinagar | May 7, 2020 10:30 am

হিজবুল মুজাহিদিনের শীর্ষ এক সদস্য রিয়াজ নাইকু। (Photo : Twitter / @sudh96)

করোনাভাইরাস বা লকডাউন কোনও কিছুই জঙ্গিদের নাশকতা রুখতে সক্ষম নয়। কাশ্মীর উপত্যকায় জঙ্গি কার্যকলাপ বরং বেড়েই চলেছে। পুলওয়ামার বেইগপুরায় হিজবুল মুজাহিদিনের সদস্যদের জমায়েত হওয়ার খবর পাওয়ার পর যৌথবাহিনী এলাকা ঘিরে ফেলে মঙ্গলবার রাতেই।

শুরু হয় গুলির লড়াই। বুধবার সকাল পর্যন্ত গুলির শব্দ শোনা যায় এলাকা থেকে। শেষ পর্যন্ত হিজবুল মুজাহিদিনের আশ্রয় নেওয়া সদস্যদের নিকেশ করতে ওই বাড়িটিই বিস্ফোরণ ঘটিয়ে উড়িয়ে দেয়। ফলে নিহত হয় জঙ্গি সংগঠনের শীর্ষ এক সদস্য রিয়াজ নাইকু।

সেনা, সিআরপি ও জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ যৌথভাবে এই অভিযান চালায়। পরে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করা হয় দুই জঙ্গির দেহ। একজনকে কাশ্মীর পুলিশ রিয়াজ নাইকু বলে শনাক্ত করে।

এরই মধ্যে জম্মু ও কাশ্মীরের দশটি জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কাশ্মীর পুলিশ জানিয়েছে দীর্ঘদিন ধরেই ওই জঙ্গি মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় রয়েছে। ২০১৬ সালে জঙ্গি গোষ্ঠীর অন্য নেতা বুরহানওয়ানি নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে নিহত হওয়ার পর উপত্যকায় হিজবুল জঙ্গি গোষ্ঠীর দায়িত্ব নেয় রিয়াজ নাইকু।

রিয়াজের নেতৃত্বেই জম্মু কাশ্মীর পুলিশের অফিসারদের খতম তালিকা করা হয়। ২০১৮ সালে সোপিয়ান ও পুলওয়ামা এলাকায় স্পেশাল পুলিশ অফিসারদের অপহরণ করে চাকরি থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য করে রিয়াজ। একই সঙ্গে অপহরণ ও খুনের মামলা ছিল তার বিরুদ্ধে।

পামপের এলাকাতেও মঙ্গলবার রাত থেকে জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে দুই জঙ্গি নিহত হয় বলে পুলিশ সুত্রে জানানো হয়েছে।