৬ বার গড়হাজির হেমন্তের বাড়িতে ভোরেই হাজির ইডি

Written by SNS January 20, 2024 3:42 pm

রাঁচি, ২০ জানুয়ারি– পাঁচ বার তলব এড়িয়েও শেষ রক্ষা করতে পারলেন না ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন৷ তিনি এনফোর্সমেন্ট ডায়রেক্টরেট (ইডি)-এর দফতরে হাজিরা না দিলেও এবার ইডি তার দোরে হাজির৷ শনিবার প্রায় ভোররাতেই ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী তথা ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার নেতা হেমন্ত সোরেনের বাসভবনে হাজির হলেন ইডির আধিকারিকরা৷ সরাসরি দিল্লি থেকে রাঁচীর কাঁকের রোডে সোরেনের সরকারি বাসভবনে এসে পৌঁছন ইডির তিন আধিকারিক৷
এদিন ইডি আধিকারিকদের সোরেনের বাসভবনে ঢোকার খবর পেতেই সোরোন দলের সমর্থকরা সেখানে হাজির হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন৷ পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে না যায়, তাই নিরাপত্তাও বাড়ানো হয়েছে৷ ইডি সূত্রে খবর, ১৩ জানুয়ারি সোরেনকে চিঠি পাঠিয়ে জানানো হয় ১৬-২০ জানুয়ারি তিনি যেন সময় দেন৷ তাঁর রেকর্ড বয়ান করা হবে৷ ইডির চিঠির জবাবে সোরেন জানান, ২০ জানুয়ারি বাসভবনে থাকবেন তিনি৷ সেই জবাব পাওয়ার পরই শনিবার সোরেনের বাসভবনে হাজির হন ইডি আধিকারিকরা৷
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে এই মামলার তদন্তে ১৪ জনকে গ্রেফতার করেছে ইডি৷ তাদের মধ্যে ২০১১ সালের ব্যাচের আইএএস অফিসার ছবি রঞ্জনও আছেন৷ যিনি এক সময় সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার ডিপার্টমেন্টের ডিরেক্টর এবং রাঁচির ডেপুটি হাইকমিশনার ছিলেন৷ এর আগে এই মামলাতেই রক্ষাকবচ পেতে হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টেও গেছিলেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী৷ তবে ঝাড়খণ্ড হাইকোর্ট সোরেনের আবেদন খারিজ করে দেয়৷ দুটি পৃথক মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা শুরু করেছে ইডি৷
ইডি সূত্রে খবর, রাঁচীতে জমি ক্রয়বিক্রয়ে যে আর্থিক তছরুপ হয়েছিল, সেই মামলায় সোরেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে৷ গত বছরের ডিসেম্বর এই মামলায় সোরেনকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আঞ্চলিক দফতরে ডেকে পাঠানো হয়েছিল৷ সেটি ছিল পঞ্চম তলব৷ কিন্ত্ত সেই তলবেও হাজিরা দেননি ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী৷
আর্থিক তছরুপ বিরোধী আইন (পিএমএলএ)-এর আওতাধীন মামলায় সোরেনের বয়ান রেকর্ড করানোর জন্য তলব করা হয়েছিল সেই সময়৷ কিন্ত্ত ইডির সেই তলবকে ‘বেআইনি’ বলে দাবি করেছিলেন তিনি৷ ইডি তখন নোটিস পাঠিয়ে জানিয়েছিল, বয়ান রেকর্ডের জন্য শেষ বারের মতো হাজিরা দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে৷ নোটিস পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে উল্লিখিত সময়ের মধ্যে দফতরে হাজিরা দিতে হবে৷ কিন্ত্ত তাতেও সাড়া না দেওয়ার অভিযোগ ওঠে সোরেনের বিরুদ্ধে৷