১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা ঘুষ নেওয়ার সময় হাতেনাতে পাকড়াও কেন্দ্রীয় জিএসটি আধিকারিক। গুজরাতের দুর্নীতি দমন
ব্যুরো (এসিবি) বৃহস্পতিবার তাঁকে গ্রেপ্তার করে। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন – আহমেদাবাদের সিজিএসটি অডিট বিভাগের
সুপারিনটেনডেন্ট মহম্মদ রিজওয়ান শেখ, ইন্সপেক্টর কুলদীপ মুলচাঁদ কুশওয়াহা এবং ভূমিকভাই ভরতভাই সোনি নামে
এক মধ্যস্থতাকারী।
ওই আধিকারিকের বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ এসেছিল। সেই সমস্ত অভিযোগ পেয়ে গুজরাতের দুর্নীতি দমন ব্যুরো
তদন্ত শুরু করে। এরপর বৃহস্পতিবার ঘুষ নেওয়ার সময় হাতেনাতে ধরা হয় অভিযুক্ত আধিকারিককে। গুজরাত এসিবি
রাজ্যের সরকারী বিভাগগুলিতে দুর্নীতি ঠেকাতে এই জাতীয় কার্যকলাপের বিরুদ্ধে তাদের অভিযান আগের চেয়ে আরও
জোরদার করেছে।
Advertisement
এদিকে, জিএসটি সংক্রান্ত প্রতারণার অভিযোগে মহেশ লঙ্গা নামে এক সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করেছে আহমেদাবাদ ক্রাইম ব্রাঞ্চ। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২০ (প্রতারণা), ৪৬৭ (জালিয়াতি), ৪৬৮ (প্রতারণার জন্য জালিয়াতি), ৪৭১ (জাল নথি ব্যবহার), ৪৭৪ (জাল নথি রাখা) এবং ১২০-বি (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র) সহ ভারতীয় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
Advertisement
আহমেদাবাদের ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ জিএসটি ইন্টেলিজেন্সের (ডিজিজিআই) সিনিয়র গোয়েন্দা অফিসার হিমাংশু জোশীর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এই মামলাটি শুরু করা হয়েছিল। আধিকারিকদের মতে, ডিএ এন্টারপ্রাইজেস-সহ বিভিন্ন সংস্থার নেটওয়ার্ক জিএসটি শুল্ক ফাঁকি দিতে বড় মাপের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।
এফআইআরে লঙ্গার ভাই মনোজকুমার রামভাই লঙ্গার মালিকানাধীন ডিএ এন্টারপ্রাইজেস-সহ ১৩ জন ব্যক্তি ও সংস্থার নাম উল্লেখ করা হয়েছে। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, প্রায় ২০০ টি প্রতারক সংস্থার একটি নেটওয়ার্ক সারা দেশে সংগঠিতভাবে কাজ করছে। সরকারকে ফাঁকি দিয়ে ব্যবসা করে চলেছে তারা।
Advertisement



