রবিবার জম্মুতে গুজ্জর সম্প্রদায়ের এক অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন আজাদ। সেখানে মােদীর প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, নরেন্দ্র মােদীর কাছ থেকে মানুষের শেখা উচিত। এক জন প্রধানমন্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও তিনি কিন্তু নিজের শিকড়কে ভুলে যাননি। নিজেকে এখনও গর্বের সঙ্গে চা ওয়ালা বলেন। মােদীর সঙ্গে তাঁর রাজনৈতিক মতভেদ রয়েছে ঠিকই।
তবে মােদী যে মার্টির মানুষ সে কথা অকপটে স্বীকার করেছেন আজাদ। তিনি জম্মু-কাশ্মীরের উন্নয়নের প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন, জম্মু- কাশ্মীরের উন্নয়নের জন্য ৩-৪ গুণ বেশি অর্থ বরাদ্দ করা উচিত কেন্দ্রের। উন্নয়নের কাজে আরও অগ্রগতি আনা উচিত। শুধু তাই নয়, ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলােপের পর এবং লকডাউনের পর জম্মু-কাশ্মীরের আর্থিক উন্নয়নের দিকেও নজর দেওয়া উচিত ছিল বলে মন্তব্য করেন আজাদ।
Advertisement
প্রসঙ্গত, চলতি মাসেই রাজ্যসভার বিরােধী দলনেতার পদ থেকে অবসর নিয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ গুলাম নবি আজাদ। তাঁর বিদায় পর্বে বক্তৃতায় আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদী। আজাদ সম্পর্কে ১৩ মিনিটের বক্তব্যে সংসদে কয়েক বার আগে বিহুল হতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।
Advertisement
জম্মু-কাশ্মীরে ২০০৭-এ জঙ্গি হামলার ঘটনায় গুজরাতের পর্যটকদের কী ভাবে সহযােগিতা করেছিলেন সে কথা স্মরণ করে আজাদকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছিলেন মােদী। বলেছিলেন, “আপনার শূন্যস্থান পূরণ হওয়া সম্ভব নয়। আপনাকে অবসর নিতে দেব না।
তাঁর প্রত্যুত্তরে আজাদ বলেছিলেন, মােদীর সঙ্গে মৌখিক বিবাদের পরও সেগুলাে মনে রাখেননি তিনি। ব্যক্তিগত আক্রমণ করেননি কখনও। রাজ্যসভা থেকে অবসরের পর প্রায় ২ সপ্তাহ কেটে গিয়েছে। সে দিন সংসদের অন্দরে মােদীর প্রশংসা করেছিলেন আজাদ।
আর রবিবার জনসমক্ষে যে তাঁর মুখে মােদীর প্রশংসা শােনা গেল। শুধু প্রশংসাই নয়, মােদীকে মাটির মানুষও বললেন তিনি।
Advertisement



