মোদির বুলেট ট্রেনের ভবিষ্যত অনিশ্চিত

কংগ্রেস নেতা বলেন, ‘যদি বুলেট ট্রেন প্রকল্পকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হয়, তাহলে কেন্দ্রকে সমস্ত ব্যয়ভার বহন করতে হবে। মহারাষ্ট্র সরকার একটা টাকাও ব্যয় করবে না’।

Written by SNS Mumbai | November 28, 2019 2:47 pm

বুলেট ট্রেন (File Photo: IANS)

শিবসেনা কংগ্রেস-এনসিপি জোট ক্ষমতায় এসে ঠিক কি কি করতে চলেছে তার খতিয়ান দিয়ে বলা হয় মহারাষ্ট্রের নতুন সরকার বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প বন্ধ করে দিতে পারে। কেন বন্ধ করে দেওয়া হবে তাও ব্যাখ্যা করা হয়েছে।

মহারাষ্ট্রে ভােটের ফলাফল ঘােষণার পর টানা একমাস ধরে রাজনৈতিক দলগুলির জোট ভাঙা-গড়ার নাটকের যবনিকা পতন করে আগামিকাল শিবসেনা নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে উদ্ধব ঠাকরে শপথ গ্রহণ করবেন। মুখ্যমন্ত্রী পদের সমানাধিকারের দাবি নিয়ে শিবসেনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করায় মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক নাটকের দফায় দফায় পট পরিবর্তন হয়েছে।

শিবসেনা মুখপাত্র মণীশ কায়ান্ডে বলেন, ‘মুম্বই মেট্রো রেল কর্পোরেশন লিমিটেড এখনও পর্যন্ত কত গাছ কেটে ফেলেছে। আরে কলােনি এলাকায় আর কোনও গাছ কাটা হবে না। উদ্ধব ঠাকরে বলেছেন শিবসেনা নেতৃত্বাধীন জোট সরকার মানুষের জন্য কাজ করবে। নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি মােতাবেক আমরা কৃষক কল্যাণের ওপর নজর দেব’।

তিনি বলেন, ‘নানার তৈল সংশােধনাগার প্রকল্পে কোনও লক্ষণীয় পরিবর্তন হয়নি। আমি যতদূর জানি নানার প্রকল্প বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বুলেট ট্রেনের প্রসঙ্গে এটুকু বলতে পারি এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গিয়ে যদি প্রচুর মানুষের ক্ষতি হয়, তাহলে বুলেট ট্রেন প্রকল্প নিয়ে এগােনাে উচিত হাবে না’।

শিবসেনা বিধায়ক দীপক কেশরকার বলেন, ‘আমাদের প্রাধান্য কৃষকের উন্নতি ঘটানাে। তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি আমাদের দেশে বুলেট ট্রেনের কোনও প্রয়ােজন নেই। শিবসেনা-কংগ্রেস-এনসিপি জোট মহারাষ্ট্রকে এগিয়ে নিয়ে যেতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’।

কংগ্রেস নেতা বলেন, ‘যদি বুলেট ট্রেন প্রকল্পকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হয়, তাহলে কেন্দ্রকে সমস্ত ব্যয়ভার বহন করতে হবে। মহারাষ্ট্র সরকার একটা টাকাও ব্যয় করবে না’।

এনসিপি বলেছে, ‘শিবসেনা কংগ্রেস এনসিপি জোটের তরফে কেন্দ্রকে জানিয়ে দেওয়া হবে বুলেট ট্রেন প্রকল্পে মহারাষ্ট্র সরকার ১.০৮ লাখ কোটি টাকা ব্যয় করবে না। তার বদলে কৃষকদের উন্নতির ওপর নজর দেওয়া হবে। বন্যায় কয়েক লক্ষ একরের ফসল নষ্ট হয়েছে। এরপর খরা- কৃষকদের সহায়তা করার লক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল কৃষকদের সহায়তায় অন্তবর্তীকালীন ত্রাণের ঘােষণা করেছেন বিরােধীরা প্রতি হেক্টর পিছু ২৫,০০০ টাকা করে ত্রাণের দাবি জানিয়েছেন।