• facebook
  • twitter
Wednesday, 26 March, 2025

তিরুপতির লাড্ডুকাণ্ডে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তার ৪

তিরুপতি বালাজি মন্দিরের লাড্ডুর মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। অভিযোগ ওঠে, মন্দিরের প্রসাদী লাড্ডুতে পশুর চর্বি মিলেছে। সেই মামলার তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই।

ফাইল ছবি

তিরুপতি বালাজি মন্দিরের লাড্ডুর মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। অভিযোগ ওঠে, মন্দিরের প্রসাদী লাড্ডুতে পশুর চর্বি মিলেছে। সেই মামলার তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই। ওই লাড্ডু তৈরির জন্য যে ঘি ব্যবহার করা হত, তার জোগানের টেন্ডারে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এবার এই মামলায় ৪ জনকে গ্রেপ্তার করল সিবিআই। সোমবার অভিযুক্তদের আদালতে পেশ করা হলে চার জনকে ১৪ দিনের জেল হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

ধৃতেরা হলেন – উত্তরাখণ্ডের ভোলেবাবা ডেয়ারির বিপিন জৈন এবং পোমিল জৈন, তামিলনাড়ুর বৈষ্ণবী ডেয়ারির অপূর্ব বিনয় কান্ত এবং তেলঙ্গানার এআর ডেয়ারির রাজু রাজাশেখরন। সূত্রের খবর, সিবিআই-এর নেতৃত্বাধীন সিট তদন্তে ঘি সরবরাহের প্রতিটি পর্যায়ে অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছে, যার ফলে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

কয়েক মাস আগে অভিযোগ ওঠে, তিরুপতির শ্রী ভেঙ্কটেশ্বর স্বামী মন্দিরে প্রসাদী লাড্ডুতে পশুর চর্বি এবং মাছের তেল ব্যবহার হয়েছে। ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত হানার অভিযোগ তুলে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দাখিল করা হয়। এরপর এই মামলার তদন্তের জন্য পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠনের নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। কমিটিতে আছেন – দুই সিবিআই আধিকারিক, অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিশের দুই আধিকারিক, ‘খাদ্য নিরাপত্তা এবং মান বিষয়ক কর্তৃপক্ষ’ (এফএসএসএআই)-এর এক শীর্ষ আধিকারিক।

সিবিআই সূত্রে খবর, মন্দিরে ঘিয়ের জোগান দেওয়ার জন্য বৈষ্ণবী ডেয়ারির প্রতিনিধিরা এআর ডেয়ারির নামে টেন্ডার নিতেন। ভুয়ো নথি দেখিয়ে টেন্ডার প্রক্রিয়ায় কারচুপি করা হত। এদিকে মন্দিরের বিরাট চাহিদা মেটানোর মতো পর্যাপ্ত ক্ষমতা ছিল না বৈষ্ণবী ডেয়ারির। ফলে ভোলেবাবা ডেয়ারি থেকে ঘি কিনে তাতে ভেজাল মিশিয়ে পাঠানো হত তিরুপতি মন্দিরে।

তিরুপতি মন্দিরের রান্নাঘরে প্রতি দিন তিন লক্ষ লাড্ডু তৈরি করা হয়। এই লাড্ডু তৈরিতে মোট ১৫০০ কেজি ঘি লাগে। ২০২৪ সালের ৮ জুলাই ৮টি ট্যাঙ্কারে করে আসা ঘি-এর মধ্যে চারটি তদন্তের জন্য পাঠানো হয়। ১৭ জুলাই সেই তদন্তের বিস্তারিত রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসে, যেখানে দাবি করা হয় ঘিতে রয়েছে মাছ ও পশুর চর্বি। বিশেষ তদন্তকারী দলের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, ঘিয়ের মধ্যে আপত্তিকর ভেজাল তো ছিলই, সেই সঙ্গে মন্দিরে ঘি সরবরাহ প্রক্রিয়ায় একাধিক স্তরেও গুরুতর অনিয়ম করা হয়েছিল।