‘অটল টানেল’ উদ্বোধনের আগেই সেখান থেকে সােনিয়া গান্ধির নামের ভিত্তিপ্রস্তর সরিয়ে ফেলেছে প্রশাসন। চাঞ্চল্যকর অভিযােগ তুললাে কংগ্রেস। হিমাচল প্রদেশের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি কুলদীপ সিং রাঠোর এ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুরকে একটি চিঠিও লিখেন এবং জানতে চান সােনিয়ার নামাঙ্কিত ওই ভিত্তিপ্রস্তর কেন সরানাে হল।
প্রসঙ্গত, গত ৩ অক্টোবর হিমাচল প্রদেশের মানালি থেকে লাহুল-স্পিতি উপত্যকা পর্যন্ত বিস্তৃৃত ৯.০২ কিলােমিটার দীর্ঘ হাইওয়ে টানেলের উদ্ভাধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ও হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর ছাড়াও এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনালে বিপিন রাওয়াত, সেনাপ্রধান এমএম নারাভানে ও বর্ডার রােড অর্গানাইজেশনের আধিকারিকরা।
Advertisement
সমুদ্রপৃষ্ট থেকে ৩ হাজার মিটার উচ্চতায় অবস্থিত ৯.০২ কিলােমিটার দীর্ঘ এই টানেলটি তৈরি হওয়ায় এখন থেকে সারা বছর মানালির সঙ্গে লাহুল-স্পিতি উপত্যকার যােগাযােগ বজায় থাকবে। এর ফলে মানালি থেকে লে-র মধ্যে দূরত্ব ৪৬ কিমি কমে যাবে। পাশাপাশি যাতায়াতের সময়ও কমেছে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা।
Advertisement
এই টানেলের ফলে সবচেয়ে বেশি সুবিধা হবে সেনার। এর মধ্যে দিয়ে লাদাখ পর্যন্ত সহজেই পৌঁছনাে যাবে। অস্ত্রশস্ত্র ও খাদ্য অনায়াসেই পৌঁছে দেওয়া যাবে সীমান্তে।
প্রসঙ্গত, আগে বরফ জমে থাকার কারণে লাহুল-স্পিতি উপত্যকার সঙ্গে যােগ থাকত না হিমাচলের। তাই ২০০০ সালের ৩ জুন এই টানেল তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সেই সময় প্রধানমন্ত্রী ছিলেন অটলবিহারী বাজপেয়ী। পরবর্তীকালে ইউপিএ জমানায় এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়।
২০১০ সালের ২৮ জুন প্রকল্পের শিলান্যাস করেন তৎকালীন ইউপিএ চেয়ারপার্সন সােনিয়া গান্ধি। তখনই সােনিয়ার নামাঙ্কিত ভিত্তিপ্রস্তরটি স্থাপন করা হয়। এ বছর ৩ অক্টোবর ওই টানেলটির উদ্ভাধন করেন প্রধানমন্ত্রী। কংগ্রেসের অভিযােগ, সেই উদ্বোধনের আগেই সােনিয়ার নামাঙ্কিত ভিত্তিপ্রস্তরটি সরিয়ে ফেলেছে প্রশাসন।
আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তা যথাস্থানে না ফিরিয়ে দিলে রাজ্যজুড়ে আন্দোলনেরও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন হিমাচল প্রদেশ কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি। রাজ্যের দুই কংগ্রেস নেতা আবার এই টানেল সরানাে নিয়ে মামলাও করেছেন বলে খবর।
Advertisement



