করোনার দাওয়াই হিসেবে প্রথম আয়ুর্বেদিক ওষুধ! ঘোষণা বাবা রামদেবের

বাবা রামদেব জানিয়েছিলেন, অশ্বগন্ধা, গিলোই ও তুলসি সমৃদ্ধ করোনিল খেলে করোনায় আক্রান্ত রোগী ১০০ শতাংশ সুস্থ হয়ে উঠবেন।

Written by SNS New Delhi | June 24, 2020 10:42 am

করোনা’র যুদ্ধ জিততে মরিয়া গোটা বিশ্ব এখন প্রতিষেধকের দিকে তাকিয়ে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় কিছুটা আশার আলো দেখিয়েছে। অন্যদিকে নাইরেজিয়ার একদল বিজ্ঞানী জানিয়েছেন, তাঁদের প্রতিষেধকের কাজ প্রায় শেষ। তবে সেই টিকা আপাতত আফ্রিকার জন্যই বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে।

তবে মঙ্গলবার, করোনার দাওয়াই হিসেবে আয়ুর্বেদিক ওষুধ আনতে চলেছেন বাবা রামদেব। এদিন পতঞ্জলি যোগীপিঠের সিইও আচার্য বালাকৃষ্ণ টুইট করে জানিয়েছেন, বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা সহ সংস্থার আবিষ্কার করা ওষুধ আজ সামনে আনা হবে। দুপুর ১২:৩০ টা নাগাদ হরিদ্বারের পতঞ্জলি যোগপীঠে এই ওষুধ সকলের সামনে আনা হয়। এই আয়ুর্বেদিক ওষুধ করোনিলের সব প্রমাণ ও ব্যাখ্যা করা হবে। উপস্থিত ছিলেন বাবা রামদেব-ও।

প্রসঙ্গত, বাবা রামদেব জানিয়েছিলেন, অশ্বগন্ধা, গিলোই ও তুলসি সমৃদ্ধ করোনিল খেলে করোনায় আক্রান্ত রোগী ১০০ শতাংশ সুস্থ হয়ে উঠবেন। সেই জীবনদায়ী ওষুধই মঙ্গলবার লঞ্চ করবেন তিনি। শুধু করোনার চিকিৎসা নয়, করোনাকে সমূলে উপড়ে ফেলার ক্ষমতা ভারতীয় আয়ুর্বেদের আছে বলে রামদেবের দাবি।

বালাকৃষ্ণ দাবি করেছেন, সংস্থার আবিষ্কার করা এই আয়ুর্বেদিক ওষুধ খেলে করোনা রোগী ৫-১৪ দিনের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠবেন। তিনি জানিয়েছেন, আমাদের ওষুধে শুধু ইমিউনিটি বাড়বে তাই নয়, করোনার রোগীরা এই ওষুধ খেলে মাত্র ৫-১৪ দিনের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠলে। পরীক্ষার রিপোর্টে আসবে নেগেটিভ। তাই আমরা এটিকে করোনার উপযুক্ত আয়ুর্বেদিক ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করতেই পারি। প্রতিষেধকের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু হয়ে গিয়েছে। ৪-৫ দিন পরেই ব্যাখ্যা ও তথ্য নিয়ে সকলের সামনে প্রকাশ করা হবে।

করোনা প্রতিরোধ হিসেবে শুধু প্রতিষেধকই নয়, রোজ নিয়ম করে যোগার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। তাতে ইমিউনিটি সিস্টেম সক্রিয় থাকবে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে। এর সঙ্গে চাই পর্যাপ্ত ডায়েট। তবেই করোনার সঙ্গে যুদ্ধে জয় আসবে বলে জানিয়েছে সংস্থার সিইও।

এক দিনে করোনায় প্রাণহানির নিরিখে অতীতের রেকর্ড ভেঙে গেল সোমবার। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের হিসাব অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড ১৯ সংক্রমণে দেশজুড়ে ৪৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে, নতুন আক্রান্ত ১৪৮২১ জন। বিপুল জনঘনত্ব সত্ত্বেও এদেশে প্রতি লক্ষ বাসিন্দা পিছু করোনা সংক্রমণের হার ৩০.০৪। বিশ্বে ওই হার ১১৪.৬৭। অর্থাৎ সংক্রমণ হইহই করে বাড়লেও ভারতের তেমন খারাপ নয়, দাবি কেন্দ্রের।