উত্তরাখণ্ডের চামােলিতে হিমবাহ ধস প্রত্যক্ষ করেছে দেশবাসী। সারা ভারতের নজর এখন ত্রাণ ও উদ্ধারকার্যের দিকে। সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে তপােবন টানেলটিতে। সেখানে প্রায় ৩৭ জনের আটকে থাকার আশঙ্কা রয়েছে। কিন্তু উদ্ধারকারী দল এখনও নাগাল পায়নি।
এ ক্ষেত্রে বড় সমস্যা হল পুরাে সুড়ঙ্গ কাদা, বালি পাথরে এমনভাবে আটকে গেছে যে তার মধ্যে প্রবেশ করা প্রায় অসাধ্য হয়ে উঠেছে। তবে এখনই হাল ছড়াতে নারাজ উদ্ধারকারী দল। তারা এখনও উদ্ধারের কাজ চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। এখনও মিশন অন।
Advertisement
এই ভয়ঙ্কর দুর্যোগে এখনও পর্যন্ত ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। ১৭১ জন এখনও নিখোঁজ। মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াত জানিয়েছেন, ডিআরডিও এবং ইসরাের সহায়তায় ধ্বংসস্থল খুঁটিয়ে দেখা হচ্ছে। যাতে উদ্ধারকাজে আরও দ্রুততা আসে।
Advertisement
এই মুহূর্তে উদ্ধারকারীদের প্রধান কজের ক্ষেত্র হল তপােবন টানেল। সেনার তরফে এই তপােবন টানেলের পাশে এমার্জেন্সি মেডিকেল ইউনিট চালু করা হয়েছে। এখানে একটি ৬ শয্যার মেডিকেল রুম বানানাে হয়েছে, যাতে প্রয়ােজনে তা ব্যহার করা যায়। আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধার করতে দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছে উদ্ধারকারী টিমগুলি। চলছে প্রাণ বাঁচানাের লড়াই।
আর্মি, এসডিআরএফ, এনডিআরএফ-সহ বেশ কয়েকটি টিম তপােবন টানেলের কাছে কাজ করছে। আটকে পড়া লােকেদের ত্রাণ দেওয়ার দিকেও নজর দেওয়া হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত টানেলের ১২০ কিলােমিটার পর্যন্ত পৌছনে সম্ভব হয়েছে। আইটিবিপি এই টানেল খালি কার কাজ করছে। ১২০ কিলােমিটার খালি করা সম্ভব হয়েছে। সুড়ঙ্গের ভেতরে ঢােকার যথাসাধ্য চেষ্টা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, প্রকৃতর তাণ্ডবলীলায় ভয়াবহ হিমবাহ বিস্ফোরণের ফলে ভেসে গেছে উত্তরাখণ্ডের চামােলি জেলা। রবিবার দুপুরে আচমকা হিমবাহ ভেঙে তুষার ধসের ফলে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয় উত্তরাখণ্ডের বিস্তীর্ণ এলাকায়। এই ধসের ফলে ঋষিগঙ্গা ও ধৌলিগঙ্গা জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। দুটি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রেরই বাঁধ ভেঙে গিয়েছে। চামােলি জেলার তপােবনেরও ক্ষতি হয়েছে।
Advertisement



