• facebook
  • twitter
Monday, 11 August, 2025

নির্বাচনের ভিডিও-ছবি মাত্র ৪৫ দিন সংরক্ষণ করবে কমিশন

নির্বাচনের সময়কার সিসিটিভি ফুটেজ, ভিডিও, ওয়েব কাস্টিং ও ফোটো এবার থেকে ৪৫ দিন পরে মুছে (ডিলিট) দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

নির্বাচনের সময়কার সিসিটিভি ফুটেজ, ভিডিও, ওয়েব কাস্টিং ও ফোটো এবার থেকে ৪৫ দিন পরে মুছে (ডিলিট) দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। রাজ্যগুলির মুখ্য নির্বাচনী অফিসারদের এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, কোনও কেন্দ্রের ভোট নিয়ে মামলা হলে সেক্ষেত্রে সেখানকার ভিডিও ও ছবি সংরক্ষণ করা হবে। ৪৫ দিনের মধ্যে কোনও মামলা না হলে সেগুলি ডিলিট করে দেওয়া হবে।

৩০ মে এই সংক্রান্ত একটি চিঠি সব রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকদের পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। চিঠিতে জানানো হয়েছে, নির্বাচন চলাকালীন ফোটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি, সিসিটিভি ও ওয়েবকাস্টিংয়ের মাধ্যমে নির্বাচন প্রক্রিয়া রেকর্ড করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনী আইনে এই ধরনের রেকর্ডিং বাধ্যতামূলক নয়। নির্বাচনী প্রক্রিয়ার বিভিন্ন পর্যায় চলাকালীন অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাপনা খতিয়ে দেখতে এই রেকর্ডিং ব্যবহার করে কমিশন।

চিঠিতে আরও লেখা হয়েছে, সাম্প্রতিককালে দেখা যাচ্ছে নির্বাচনের সময়কার সেই সব ভিডিও ও ছবিগুলির অপব্যবহার করা হচ্ছে। নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি এরকম ব্যক্তি এই সকল কন্টেন্ট ব্যবহার করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুল ও বিদ্বেষমূলক তথ্য ছড়িয়ে দিচ্ছেন। সেই কারণে ৪৫ দিনের মধ্যে যদি কোনও কেন্দ্রের ভোট নিয়ে মামলা রুজু করা না হয় সেক্ষেত্রে নির্বাচনের সময় করা ভিডিও ও সিসিটিভি ফুটেজ ডিলিট করে দেওয়া যেতে পারে।

ভোট সংক্রান্ত নথিপত্র সংরক্ষণ নিয়ে গত বছর ২৪ সেপ্টেম্বর কমিশন একটি নির্দেশিকায় জানিয়েছিল, নির্বাচনের ভিডিও, ছবি-সহ অন্যান্য নথিপত্র তিন মাস থেকে এক বছর পর্যন্ত সংরক্ষণ করা হবে। তাতে ভোটের দিন ঘোষণা অর্থাৎ আদর্শ আচরণ বিধি চালুর দিন থেকে মনোনয়ন পেশ পর্যন্ত সময়ের নথির কথাও বলা হয়। এই নথি তিন মাস সংরক্ষণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। মনোনয়ন থেকে গণনা ও ফল প্রকাশ পর্যন্ত সময়ের নথি সংরক্ষিত হবে এক বছর। এ বার নতুন নির্দেশিকায় সবটাই কমিয়ে ৪৫দিন করে দেওয়া হয়েছে। কমিশনের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী, নির্বাচনের ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করার জন্য হাতে মাত্র ৪৫ দিন থাকছে। এর ফলে অনিয়ম আড়াল করতে আরও সুবিধা হবে বলে মত বিরোধীদের।