• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

হাসপাতাল নির্মাণে হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি, আপ নেতাদের বাড়িতে ইডির তল্লাশি

দিল্লিতে হাসপাতাল নির্মাণ ঘিরে হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগে মঙ্গলবার সকাল থেকে ব্যাপক তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে ইডি।

দিল্লিতে হাসপাতাল নির্মাণ ঘিরে হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগে মঙ্গলবার সকাল থেকে ব্যাপক তল্লাশি অভিযান চালায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। আম আদমি পার্টির (আপ) একাধিক শীর্ষ নেতা আপাতত ইডির র‍্যাডারে। প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও আপ নেতা সৌরভ ভরদ্বাজের বাসভবনে হানা দেয় ইডি। একযোগে দিল্লি এবং সংলগ্ন এলাকায় অন্তত ১৩টি জায়গায় তল্লাশি চালানো হয় বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা।

ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, এই তথাকথিত ‘হাসপাতাল কেলেঙ্কারি’র আর্থিক অঙ্ক প্রায় ৫৫৯০ কোটি। ২০১৮-১৯ সালে আপ সরকারের আমলে এই বিপুল পরিমাণ টাকা ব্যয়ে ২৪টি হাসপাতাল তৈরি এবং মানোন্নয়নের কাজ শুরু হয়। ১১টি নতুন হাসপাতালের কাজ শুরু হয়। আর ১৩টি হাসপাতালের মানোন্নয়নের কাজ শুরু হয়। অভিযোগ, ওই প্রকল্পে ১১২৫ কোটি টাকা দিয়ে ৬৮০০ শয্যার একটি হাসপাতাল তৈরির কথা ছিল। কিন্তু হাসপাতাল তৈরির কাজ যখন মাঝপথে, তখনই প্রস্তাবিত অর্থের পুরোটা খরচ হয়ে যায়।

Advertisement

একাধিক স্থানে অনুমোদন ছাড়াই নির্মাণকাজ শুরু করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইডি। ঠিকাদারদের ভূমিকা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছে। একইসঙ্গে, ২০১৬ সাল থেকে ঝুলে থাকা ‘হাসপাতাল ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এই বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেন দিল্লির তৎকালীন বিরোধী দলনেতা, বিজেপির বীরেন্দ্র সচদেব। এরপর সৌরভ এবং আপ সরকারের আর এক প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে তদন্তে নামে দুর্নীতিদমন শাখা।

Advertisement

তদন্তকারীদের দাবি, ইচ্ছাকৃতভাবে প্রকল্পগুলোকে বিলম্বিত করা হয়েছে। এই মামলায় সৌরভ ভরদ্বাজ ছাড়াও তদন্তের আওতায় আনা হয়েছে আর এক প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও আপ নেতা সত্যেন্দ্র জৈনকে। আম আদমি পার্টি এই অভিযোগকে ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসা’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে। দলের শীর্ষ নেতা মণীশ সিসোদিয়া এক বিবৃতিতে বলেন, ‘যখন প্রকল্পটি শুরু হয়েছিল, তখন সৌরভ ভরদ্বাজ স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছিলেন না। সবটাই সাজানো মামলা। সত্যেন্দ্র জৈনের ক্ষেত্রেও এমনটাই হয়েছিল। এবার সেই পথেই হাঁটছে কেন্দ্র।’

দিল্লি বিধানসভার তৎকালীন বিরোধী দলনেতার অভিযোগে বেশ কয়েকটি স্বাস্থ্য সম্পর্কিত প্রকল্পে ভয়াবহ অনিয়ম ও বাজেট গরমিলের প্রসঙ্গ উল্লেখ করা হয়। পাশাপাশি সরকারি অর্থের অপব্যবহার এবং বেসরকারি ঠিকাদারদের সঙ্গে ‘অস্বচ্ছ যোগাযোগ’-এরও অভিযোগ ওঠে। এরই মধ্যে ইডির অভিযান দিল্লির রাজনীতিতে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।

Advertisement