ওয়েব কাস্টিং নিয়ে তৃণমূলের যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে নির্বাচন কমিশন। টেন্ডার পাইয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে পক্ষপাতিত্ব করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছিল তৃণমূল। সেই অভিযোগ অস্বীকার করে কমিশন জানায়, আগে যে সংস্থাকে বরাত দেওয়া হয়েছিল তাদের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সেই কারণে তাঁদের বদলে গুজরাতের একটি সংস্থাকে টেন্ডার দেওয়া হয়েছে। সব নিয়ম মেনেই সেই সংস্থাকে বরাত দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি কমিশনের দাবি, বাংলা থেকে একটি সংস্থাই ই–টেন্ডার পাওয়ার জন্য আবেদন করেছিল।
বুধবার রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বিধানসভায় দাঁড়িয়ে অভিযোগ করেছিলেন, কালীগঞ্জ উপনির্বাচনে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সরবরাহের ক্ষেত্রে টেন্ডার দেওয়া হয়েছে গুজরাতের এক কোম্পানিকে। বাংলার একাধিক কোম্পানিকে বঞ্চিত করে গুজরাতের ওই কোম্পানিকে সুবিধা দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যও ওয়েব কাস্টিং নিয়ে একাধিক অভিযোগ করেন। বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে কমিশন জানায়, আগের সংস্থাকে নিয়ে ২০২৪ সালে একাধিক অভিযোগ উঠেছিল। তদন্তের পর ১৫০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে ওই সংস্থাকে। সেই সংস্থা লাইভ স্ট্রিমিং করার ক্ষেত্রেও দুর্নীতি করেছিল। মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক জানিয়েছেন, গত ৭ থেকে ৮ বছর ধরে আগের সংস্থাটি কাজ করছিল। দুর্নীতির অভিযোগের কারণেই তাদের বদলে ফেলা হয়েছে। পরে এই কাজের জন্য সব নিয়ম মেনে বরাত দেওয়া হয়েছে। কোনও পক্ষপাতিত্ব করা হয়নি।
উল্লেখ্য, ওয়েব কাস্টিং হল ইন্টারনেটের মাধ্যমে সম্প্রচার। নির্বাচনে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে বুথে কী ঘটছে, কারা ভোট দিতে আসছেন, অশান্তি হচ্ছে কি না– সবটাই অনলাইনের মাধ্যমে নজরদারি চালাতে এই প্রক্রিয়া চালু করেছে কমিশন। গত লোকসভা ভোট থেকে ওয়েব কাস্টিং শুরু হয়েছে।