সূত্রের খবর, আইনশৃঙ্খলা দপ্তরের অন্যতম দক্ষ অফিসার হিসাবে পরিচিত মীনা। ঘটনাচক্রে, ২০১৮-র ব্যাচের আইপিএস অফিসার এই গণধর্ষণ মামলার তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। কিন্তু এই ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ ওঠার পরই এই পদক্ষেপ করা হল বলে মনে করছেন অনেকে। তবে ডিসিপি মীনাকে কোথায় বদলি করা হয়েছে, তা জানা যায়নি।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার নিজের সংসদীয় কেন্দ্রে পৌঁছেই এই ঘটনার খোঁজখবর নেন। তার পরই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোরতম শাস্তির নির্দেশ দেন তিনি। সূত্রের খবর, তদন্তের অগ্রগতি নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। গত ৩ এপ্রিল গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শহরে ক্ষোভ-বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। সেই আবহে গত ১০ এপ্রিল বারাণসী সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। বারাণসীতে নেমেই প্রথমে এই গণধর্ষণকাণ্ড নিয়ে খোঁজ নেন তিনি।তদন্ত কোন পথে তা নিয়ে বিস্তারিত জানতে চান প্রধানমন্ত্রী। রাজ্য প্রশাসনকে এই ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তির ব্যবস্থার নির্দেশ দেন। এমনকি, এই ধরনের ঘটনা যাতে আগামী দিনে না ঘটে, সেই সতর্কবার্তাও দিয়ে এসেছিলেন তিনি।
১৯ বছরের নির্যাতিতা তরুণী পবিত্র শহর খাজুরির বাসিন্দা। ২৯ মার্চ বন্ধুর বাড়ি যাওয়ার সময় নিখোঁজ হয়ে যান। খোঁজ মেলে ৪ এপ্রিল। সেদিন ওই তরুণীকে অচৈতন্য অবস্থায় পাণ্ডেপুর ইন্টারসেকশন থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।৬ এপ্রিল মেয়েকে গণধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ দায়ের করেন তাঁর মা। অভিযোগ, এক বন্ধু তাঁকে একটি হুক্কা বারে নিয়ে যান। সেখানে আরও কয়েক জন তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন। নির্যাতিতার অভিযোগ, পানীয়ের সঙ্গে মাদক মিশিয়ে তাঁকে খাওয়ানো হয়। তার পর সিগরা এলাকার কয়েকটি হস্টেলে নিয়ে গিয়ে সাত দিন ধরে ২৩ জন মিলে গণধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। এঁদের মধ্যে ১১ জনকে শনাক্তও করেন ওই তরুণী।
বাড়ি ফেরার পর বাবাকে সমস্ত কথা খুলে বলেন ওই তরুণী। জানান, সাতদিন ধরে কখনও হুক্কাবার, কখনও হোটেল, কখনও লজ, কখনও তাঁকে গেস্ট হাউসে তোলা হয়। বিভিন্ন জায়গায় ওই সাতদিন ধরে ২২ থেকে ২৩ জন তাঁকে ধর্ষণ করে তরুণীর অভিযোগ। তরুণীর মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ঘটনার তদন্তে মেনে পুলিশ বড়সড় যৌনচক্রের হদিস পেয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও মূল অভিযুক্তর ফোন থেকে ৫৪৬ জন মহিলার অশ্লীল ভিডিও এবং ছবিও উদ্ধার হয়েছে।