• facebook
  • twitter
Saturday, 6 December, 2025

আমি নিজে জেএনইউতে পড়েছি, কোনও টুকরে টুকরে গ্যাং দেখিনি : জয়শঙ্কর

জয়শঙ্কর সাবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমি যখন জেএনইউতে পড়তাম, তখন সেখানে কোনও টুকরে টুকরে গ্যাংকে দেখিনি।

এস জয়শঙ্কর (Photo: IANS/MEA)

রবিবার জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলার পরেই একদফা দুঃখপ্রকাশ করেছিলেন। সােমবার দেশজোড়া বিতর্কের মাঝে আরও একবার ওই ঘটনায় অসন্তোষ প্রকাশ করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তিনি সাবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমি যখন জেএনইউতে পড়তাম, তখন সেখানে কোনও টুকরে টুকরে গ্যাংকে দেখিনি।

হিন্দুত্ববাদীরা প্রায়ই বিরােধীদের ‘টুকরে টুকরে গ্যাং’ বলে চিহ্নিত করেন। তাঁদের দাবি, বিরােধীরা দেশকে টুকরাে টুকরাে করতে চায়। কয়েক বছর আগে জেএনইউ’তে সংসদ হামলা কেসের আসামি আফজল গুরুর ফাঁসির বিরুদ্ধে সভা হয়েছিল। অভিযােগ, তখন দেশবিরােধী স্লোগান ওঠে। জেএনইউয়ের ছাত্র সংসদের তৎকালীন সভাপতি কানহাইয়া কুমার সহ আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার মামলা আনা হয়। তাদের সম্পর্কেই প্রথমবার টুকরে টুকরে গ্যাং কথাটি ব্যবহার করে দক্ষিণপন্থীরা।

Advertisement

রবিবার জয়শঙ্কর টুইট করে বলেন, ‘জেএনইউতে যা ঘটেছে, তার ছবি দেখেছি। আমি নিঃশর্তে এই হিংসার নিন্দা করছি। এই ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও ঐতিহ্যের বিরােধী। অন্যদিকে কর্নাটক বিজেপি এ সম্পর্কে যে টুইট করেছে, তাতে হামলাকারীদের সমর্থনই করা হয়েছে বলে অনেকের ধারণা। টুইটারে লেখা হয়েছে দীর্ঘদিন ধরে বামপন্থীদের প্রতি নরম মনােভাব দেখানাে হয়েছে। তারা বেড়ে উঠেছে শ্যাওলার মতাে। এখন জেএনইউয়ের টুকরে টুকরে গ্যাংকে চিহ্নিত করে শাস্তি দিতে হবে। দেশের স্বার্থে বামপন্থী গুন্ডাদের দমন করতেই হবে’।

Advertisement

জেএনইউ’তে হামলায় শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রী মিলিয়ে গুরুতর আহত হয়েছে ৪ জন। তারা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। রবিবার রাতেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দিল্লি পুলিশের প্রধানের সঙ্গে কথা বলেন। সােমবার দিল্লির লেফটেন্যান্ট জেনারেল অনিল বাইজালের সঙ্গেও তিনি কথা বলেছে। ছাত্রছাত্রীদের অভিযােগ, ঘটনাস্থলে পুলিশ ও বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষীরা থাকলেও কেউ হামলাকারীদের বাধা দেয়নি। দুষ্কৃতীদের অবাধে হামলা চালিয়ে পালাতে দিয়েছে।

দিল্লি পুলিশ রবিবার থেকে জেএনইউ নিয়ে বেশ কয়েকটি অভিযােগ পেয়েছে। সবগুলি অভিযােগ একসঙ্গে নিয়ে একটিই এফআইআর করা হয়েছে। মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের সচিব সােমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, প্রােক্টর এবং রেক্টরকে ডেকে পাঠিয়েছেন।

Advertisement