দিল্লি নিয়ে আলোচনার দাবিতে দ্বিতীয় দিনেও সভা উত্তাল, মুলতবি

দিল্লির হিংসাত্মক ঘটনা নিয়ে আলােচনার দাবিতে এদিনও লােকসভা উত্তাল হয়ে ওঠে।

Written by SNS New Delhi | March 4, 2020 12:36 pm

লোকসভা (Photo: IANS)

দিল্লির হিংসাত্মক ঘটনা নিয়ে আলােচনার দাবিতে এদিনও লােকসভা উত্তাল হয়ে ওঠে। উভয় পক্ষের হইচইয়ের ফলে মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনের জন্য লােকসভার অধিবেশন বাতিল করতে হয়েছে।

এদিন অধ্যক্ষ ওম বিড়লা সরকার ও বিরােধী পক্ষের সদস্যদের একে অপরের দিকে তেড়ে যাওয়ার বিষয়ে সতর্ক করে দেন। কোন সদস্যকে তাদের নিজস্ব গন্ডি অতিক্রম করতে দেখলে অধিবেশনের অবশিষ্ট সময়ের জন্য তাঁর সংসদে যােগদানের অধিকার কেড়ে নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। এদিন অধ্যক্ষ ওম বিড়লা হােলি উৎসবের পর ১১ মার্চ দিল্লির ঘটনা নিয়ে আলােচনা হবে বলে জানিয়েছেন।

কংগ্রেস সদস্য অধীর রঞ্জন চৌধুরী এদিন এই উত্তপ্ত আলােচনার সময়েই ওয়েল পেরিয়ে ট্রেজারি বেঞ্চের দিকে এগিয়ে যান। এর ফলে শাসক বিজেপি ও বিরােধী দলের সদস্যদের মধ্যে হাতাহাতি বেধে যায়। এর ফলে অধ্যক্ষ অধিবেশন বাতিল করতে বাধ্য হন। সােমবারেও শাসক ও বিরােধী কংগ্রেস ও অন্যান্য দলের সদস্যদের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছিল। তবে মঙ্গলবার সংসদ বিষয়কমন্ত্রী প্রহলাদ যােশি সভায় জানান, সরকার জিরাে আওয়ারে বিষয়টি নিয়ে আলােচনা করতে রাজি। 

কিন্তু বিরােধীরা সম্মিলিতভাবে তখনই আলােচনার দাবি জানাতে থাকেন। বেলা ১১টায় সভা শুরু হতেই কংগ্রেস, ডিএমকে এবং অন্যান্য বিরােধী দলগুলি দিল্লির হিংসাত্মক ঘটনা নিয়ে আলােচনার দাবি জানাতে থাকে। অধ্যক্ষ বিষয়টি জিরাে আওয়ারে দুপুরে প্রশ্নোত্তর পর্বে আলােচনার আশ্বাস দিতে থাকলেও তা কোনও কাজে দেয়নি।

কংগ্রেস, টিএমসি, ডিএমকে সদস্যরা দিল্লির ঘটনা নিয়ে আলােচনার দাবি জানাতে থাকেন। এসময় সংসদ বিষয়কমন্ত্রী বিষয়টি জিরাে আওয়ারে তােলার প্রতিশ্রুতি দিতে থাকলে অবস্থা আয়ত্তের বাইরে চলে যায়। তিনি সভায় শান্তি ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানাতে থাকেন। এরপর হতাশ সংসদ বিষয়কমন্ত্রী বিষয়টি অধ্যক্ষের ওপর ছেড়ে দেন।

এসময় এক বিরােধী সদস্য সরকার বিরােধী প্লাকার্ড প্রদর্শন করলে অধ্যক্ষ মেজাজ হারিয়ে ফেলেন। তিনি বলেন, সভাকক্ষে কোনও প্লাকার্ড চলবে না। এতে বিরােধী সদস্যরা আরও উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। এসময় সরকার বা বিরােধী পক্ষের সদস্যদের অধ্যক্ষ হুঁশিয়ারি দিয়ে জানান, কোনও সদস্য নিজ নিজ এলাকার বাইরে গেলেই বাকি অধিবেশনের সময়ের জন্য তাঁর সংসদে যােগদানের অধিকার কেড়ে নেওয়া হবে।

অধ্যক্ষ পূর্বের ঘটনার উল্লেখ করে বলেন, ঘটনার গুরুত্ব যাই হােক সংসদে তার আলােচনার সুযােগ রয়েছে জিরাে আওয়ারে। সদস্যদের সভার কাজ চালানাের জন্য সহযােগিতা করতে হবে। সদস্যদের বিশৃঙ্খল আচরণের জন্য তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে রুলিং জারি করে দেন। কিন্তু কিছুতেই অবস্থা আয়ত্তের মধ্যে না আসায় সভা দুপুর পর্যন্ত মুলতুবি করে দিতে বাধ্য হন অধ্যক্ষ।

দুপুরে আবার সভার শুরুতেই বিরােধী সদস্যরা আবার হইচই শুরু করে দেন দিল্লির ঘটনা নিয়ে আলােচনার দাবিতে। দ্বিতীয়বার সভার কাজ পরিচালনার জন্য কিরীট সােলাঙ্কি সদস্যদের শান্ত হওয়ার আবেদন জানাতে থাকেন। তিনি জানান, তপশিল জাতি উপজাতি অন্যান্য পিছিয়ে পড়া শ্রেণি, বরিষ্ঠ নাগরিক এবং সমাজের দুর্বল শ্রেণির মানুষদের বিভিন্ন সুবিধার বিষয় নিয়ে আলােচনা রয়েছে।