ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার ৯ বছরের নাবালিকার সুটকেসবন্দি অর্ধনগ্ন দেহ। উত্তর-পূর্ব দিল্লির দয়ালপুর থানার অন্তর্গত নেহরু বিহার এলাকার ঘটনা। পুলিশের অনুমান, যৌন নির্যাতনের পর ওই নাবালিকাকে সুটকেসে ভরা হয়। প্রায় ঘণ্টাখানেক সুটকেসের ভিতরে সে আটকে ছিল বলে অনুমান তদন্তকারীদের। ইতিমধ্যেই ভারতীয় ন্যায় সংহিতার (বিএনএস) একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে অভিযুক্তের খোঁজ চলছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে ৯ বছরের ওই নাবালিকা আত্মীয়ের সঙ্গে দেখা করতে তাঁর বাড়ি যায়। ঘণ্টাখানেকের মধ্যে বাড়ি ফিরে আসার কথা ছিল তার। কিন্তু মেয়ে বাড়ি ফিরে না আসায় চিন্তায় পড়ে যায় পরিবারের সদস্যরা। খোঁজাখুঁজি শুরু করে তার বাবা। ওই আত্মীয়ের বাড়িতে যোগাযোগ করেও মেয়ের খোঁজ মেলেনি। সেই সময়ই এক পরিচত ব্যক্তি তাঁকে জানান, নাবালিকাকে কাছেই একটি ফ্ল্যাটের দিকে যেতে দেখেছেন।
এরপর ওই ফ্ল্যাটে মেয়ের খোঁজে যান তার বাবা। সেখানে গিয়ে দেখেন, দু’তলার একটি ফ্ল্যাট বাইরে থেকে তালাবন্ধ। নাবালিকার বাবা ও স্থানীয় বেশ কয়েক জন ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকেন। সেখানে মেঝের উপর একটি সুটকেস পড়ে থাকতে দেখেন। তা খুলতেই হতবাক হয়ে যান তিনি। দেখেন, উপুড় হয়ে শোওয়ানো মেয়েকে। নিম্নাঙ্গ নগ্ন। ছোট্ট দেহে একাধিক ক্ষতের দাগ। সঙ্গে সঙ্গে মেয়েকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান তিনি। চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে জানান।
ডিসিপি (উত্তর-পূর্ব দিল্লি) জানান, শনিবার রাত ৮টা ৪১ মিনিট নাগাদ দয়ালপুর থানায় পিসিআর কলে ঘটনার কথা জানানো হয়। খবর পেয়েই নেহরু বিহারের দু’নম্বর গলিতে একটি দল পাঠানো হয়। চিকিৎসকেরা নাবালিকার মুখে আঘাতের চিহ্ন পেয়েছেন। পুলিশের অনুমান, ওই নাবালিকাকে পৈশাচিক অত্যাচার করে খুন করা হয়েছে। কে বা কারা, এই ঘটনা ঘটাতে পারে, ধোঁয়াশায় পরিবার। যে ফ্ল্যাটের ভিতর থেকে দেহটি উদ্ধার হয়, তার মালিক কে, কী করেন, কিছুই এখনও স্পষ্ট নয়।