• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

নিরাপত্তায় এত গুরুতর ত্রুটি কেন? দিল্লি বিস্ফোরণ কাণ্ডে প্রশ্ন তুললেন অভিষেক

দিল্লির লালকেল্লা লাগোয়া এলাকায় বিস্ফোরণের ঘটনায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে নিশানা করলেন তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক।

ফাইল চিত্র

দিল্লির লালকেল্লা লাগোয়া এলাকায় বিস্ফোরণের ঘটনায় রাজধানীর নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। প্রয়োজনে আদালতের নজরদারিতে সিট গঠন করে তদন্তের দাবিও তুলেছেন তিনি। এক্স হ্যান্ডলে অভিষেক লিখেছেন, ‘এটা অত্যন্ত দুঃখজনক যে আমাদের জাতীয় রাজধানীর প্রাণকেন্দ্রে এমন একটি ঘটনা ঘটেছে। দিল্লি পুলিশ সরাসরি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীনে। তা হলে এমন গুরুতর নিরাপত্তা ব্যর্থতা ঘটছে কীভাবে?’

বিস্ফোরণে মৃত-আহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লিখেছেন, ‘দিল্লির লালকেল্লার কাছে মর্মান্তিক বিস্ফোরণের খবরে আমি গভীরভাবে মর্মাহত। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজনের প্রাণহানি ঘটেছে এবং অনেকে আহত হয়েছেন বলে জানতে পেরেছি। শোকাহত পরিবারের প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা এবং আহতদের সুস্থ হয়ে ওঠার জন্য আমার প্রার্থনা।’

Advertisement

অভিষেকের বক্তব্য, ‘সোমবার সকালে ফরিদাবাদে সাড়ে তিনশো কেজির কাছাকাছি বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে। এই ঘটনা অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা এবং নজরদারি নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন তুলে দেওয়ার মতো। সত্য উদঘাটনে এবং দোষীদের চিহ্নিত করতে প্রয়োজনে আদালতের নজরদারিতে সিট গঠন করা হোক।’

Advertisement

অন্যদিকে তৃণমূল মহিলা সাংসদ মহুয়া মৈত্র এক্স-এ পোস্ট করে সরাসরি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে আক্রমণ করেন। তিনি লিখেছেন, ‘ভারতের দরকার একজন যোগ্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, ঘৃণা ছড়ানো মন্ত্রী নয়। আমাদের সীমান্ত ও শহর – দুটোই রক্ষার দায়িত্ব তাঁর। তাহলে কেন সব ক্ষেত্রেই তিনি এতটা ব্যর্থ হচ্ছেন?’

এদিকে দিল্লিতে লালকেল্লার সামনে বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃত বেড়ে ১০। দিল্লি পুলিশ এই তথ্যই জানিয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় লালকেল্লা মেট্রোর এক নম্বর গেট লাগোয়া এলাকায় একটি চারচাকা গাড়িতে প্রথমে বিস্ফোরণ হয়। তার তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে আশপাশে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ সূত্রে খবর, আশপাশের এলাকার সব সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করতে শুরু করেছে পুলিশ। কী কারণে বিস্ফোরণ হল, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

গাড়ি বিস্ফোরণের ঘটনায় ইতিমধ্যেই ইউএপিএ-র ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। যুক্ত করা হয়েছে বিস্ফোরক আইনের যথাযথ ধারাও। এদিকে যেখানে বিস্ফোরণ ঘটেছে, তার পাশেই ছিল জৈন মন্দির ও উমাশঙ্কর মন্দির। ফলে মন্দির দুটিও হামলাকারীদের টার্গেট হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। দিল্লি বিস্ফোরণের ঘটনা সমাজমাধ্যমে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। উপযুক্ত তদন্তেরও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

Advertisement